অন্যায় করলে শাস্তি অনিবার্য। ধর্ম বা লিঙ্গ কোনো কিছুই শাস্তির অন্তরায় হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের দুর্নীতি-কাণ্ডে অভিযুক্ত রুমানা খাতুনের ইমেল প্রসঙ্গে এদিন কড়া ভাষায় জবাব দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
বস্তুত, পুরসভার শিক্ষা বিভাগে দুর্নীতির অভিযোগে শো-কজ় পেয়েছেন প্রাক্তন এডুকেশন অফিসার রুমানা খাতুন সহ আরোও দুই আধিকারিক। ৫ই সেপ্টেম্বর রুমানা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেলে অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘু মহিলা আধিকারিক বলে তাকে হয়রান করা হচ্ছে। অভিযোগ তুলেছেন মানসিক নির্যাতনেরও। তাঁর দাবি তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন,‘‘অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে। লিঙ্গ পরিচয় বা ধর্মের দোহাই দিয়ে নিস্তার মিলবে না। কোনও অভিযোগ জমা পড়লে পুর কমিশনারের কাজ হল তা যাচাই করে দেখা। তা সত্যি প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কলকাতা পুরসভার ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার সংস্কারে ৩৮ লক্ষ টাকার তরছুপ সামনে আসে। এ নিয়ে পুর ভিজিল্যান্স সংশ্লিষ্ট বিভাগের থেকে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে। একই সঙ্গে, দু’কোটি টাকার বর্ষাতি ও স্কুলপোশাক কেনার ক্ষেত্রে গরমিল প্রকাশ পেয়েছে অডিটে।
পুরসভা সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চিঠি লেখায় রুমানার উপর ক্ষুব্ধ ফিরহাদ। ফিরহাদের বক্তব্য, ‘‘আমরা যে পদক্ষেপ করছি, তাতে অনেকের স্বার্থে লাগছে। জনগণের টাকা নয়ছয় করে কেউ পার পাবেন না। কমিশনার ও কর্মীদের কাছে স্পষ্ট নির্দেশ আছে, আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’’ মেয়র আরও বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে যে কেউ চিঠি লিখতেই পারেন। তবে মানুষের স্বার্থে কাজ করাটাই আমাদের কাছে বড় কথা।’’
Yorumlar