জোর সাজ সজ্জার প্রস্তুতিতে মণ্ডপের আশেপাশের খোলা জায়গা ও মাঠে জল জমে রয়েছে। কোথাও কোথাও প্রতিমা রাখার পাটাতনের নিচেও জল জমে রয়েছে।
বাঁশের খোলা মাথা থেকে শুরু করে আশেপাশে জমা জল দুর্গাপূজোর মরসুমে ডেঙ্গি ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়াবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোনো কোনো জায়গায় বিপদ দেখে মণ্ডপ শিল্পীদের পাশাপাশি সাফাইকর্মীরাও পরিষ্কারের কাজ করছেন। পুজোর মণ্ডপ সজ্জার কাজে বাঁশের মাথায় কোনো ভাবে যেন জল না জমতে পারে সেই ডিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
পুরসভাগুলি শহরের ডেঙ্গির প্রকোপ দেখে নির্দেশ দিয়েছে পুজো কমিটিদের যাতে মণ্ডপের আশেপাশে জল না জমে। এরপরও যদিও সেই নির্দেশের পর সচেতনতা মিললো না। তার পাশাপাশি কলকাতা সল্টলেক দমদম এলাকার অনেক মণ্ডপ চত্বরে জমা জলের পাশাপাশি ঝোপ জঙ্গল হয়ে রয়েছে।
দমদম এবং সল্টলেক এলাকায় ডেঙ্গির ভয়াবহ রূপ দেখা গেলেও অনেক মণ্ডপেই এখনো অপরিচ্ছন্নতা রয়েই গেছে। জানা গিয়েছে, বিধাননগর পুরসভা এলাকার ডেঙ্গি তে মৃত্যু হয়েছে একজনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়িয়েছে।
এই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কথা ভেবে আজ মঙ্গলবার বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ এবং আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা।
দক্ষিণ দমদমে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫০ এরও বেশি। সেখানেই ৩ জন ডেঙ্গিতে এবং ৩ জন জ্বরে মারা গিয়েছেন। উত্তর দমদমের এক পূরকর্তা বলেন, মণ্ডপ গুলোতে বিশেষ নজরদারি চলবে। গোটা পুজোর মরসুম জুড়েই এই ব্যবস্থা চলবে।
পুজোকে কেন্দ্র করে বাড়তি আবর্জনা সরানোর দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
Comments