প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
ইতিমধ্যেই তিনি জন্ম দিয়েছেন এক কন্যা সন্তানের। এরপর যদি আবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, সেই ভয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তাকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে রেশমা খাতুনকে মেরে ফেলবার পরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
আত্মহত্যা হিসেবে ঘটনাটিকে যাতে প্রমাণ করবার চেষ্টা তবু তাঁরা ছাড়েননি।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠাতে চাইলে তাঁরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ। ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর থেকেই পলাতক শাশুড়ি ননদ সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন।
বছর ৩ আগে কাঠিয়ার জেলার আজমনগর থানার বাসিন্দা রেশমা খাতুন এর বিয়ে হয় মালদা হরিশ্চন্দ্রপুরের বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা সুভান আলীর সাথে। বিয়ের সময় মৃতের বাপের বাড়ি থেকে সামর্থ্য মতো যৌতুক দেওয়া হলেও পাত্রপক্ষ আরো ২ লাখ টাকা দাবি করেন।
পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক বাবার পক্ষে এই টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। এরপর থেকেই চলতো নানান অত্যাচার। এরই মধ্যে কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া নিয়েও অসন্তোষ ছিল শ্বশুর বাড়ির লোকেদের।
কিছু মাস আগে তিনি আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, যদি আবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সেই আশঙ্কায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে খুন করলো তাঁর শশুর বাড়ির লোকেরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ আরো স্পষ্ট হবে। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
コメント