ছেলেধরা সন্দেহে দুই মহিলা-সহ তিনজনকে গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় পুলিশ মামলা রুজু করেছে।
বারাসতের কাজিপাড়া এলাকায় সম্প্রতি এক নিখোঁজ বালকের দেহ উদ্ধার হয় প্রতিবেশীর শৌচালয় থেকে। ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারাসত শহরের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তারপর থেকে বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় ছেলে ধরার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও তা ঘুরছে। তারই মধ্যে বুধবার দুপুরে বারাসতের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কামাখ্যা মন্দির চত্বর ও পাশের একটি ওয়ার্ডে ছেলেধরা সন্দেহে দুই মহিলা সহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে জনতা পুলিশ খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের দুটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তারপর পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হওয়া তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাঝারিয়া তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন। তিনি বলেন, 'সামাজিক মাধ্যমে ছেলে ধরা সংক্রান্ত গুজব কেউ ছড়ালে তাকে গ্রেফতার করা হবে। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
তবে বারাসতের বাসিন্দাদের বড় অংশের অভিযোগ, কাজিপাড়ায় বালক খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত রহস্যজনক। ওই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অভিযোগ, পুলিশ কৌশলে বালক খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাতে ক্ষোভ বাড়ছে জেলা সদর বারাসতে। সাংবাদিক বৈঠকেও পুলিশ সুপার বালক খুনের ঘটনার পুলিশ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা স্পষ্টভাবে জানাতে পারেননি।।
Comments