শুক্রবার আদালতে এসেছিলেন জামিনের শুনানির জন্য। বেরনোর পথে আচমকাই তাঁর গলায় শোনা গেল মান্না দে-র গানের এক লাইন।
আদালত থেকে বেড়িয়ে গাড়ির ভিতর উঠে বসেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন,। ‘‘নাকতলার পুজোয় তো আর আপনার নাম থাকল না পার্থদা, তা হলে?’’ আধখোলা কাচের ফাঁক থেকে আনমনে বললেন, ‘‘হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে।’’
প্রসঙ্গত, এককালে নাকতলা উদয়ন সংঘের সার্বজনীন দুর্গাপুজোর প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। খুঁটিপুজো থেকে উদ্বোধন, নাকতলার পুজোর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে তাঁর উপস্থিতি। হই হই করে আয়োজন কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় দুর্গাপুজোর।
তাঁরই উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসতেন নাকতলার পুজোর উদ্বোধনে। তারকাদের ছটায় চোখ ধাঁধানোর জোগাড় হতো।
এদিন নিম্ন আদালতে ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদনের শুনানি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক বছর দেড় মাস হেফাজতে রয়েছেন পার্থ। বাইশের পুজো জেলেই কেটেছে তাঁর।
এই বছর প্রায় দরজার টোকা দিচ্ছে তেইশের দুর্গাপুজো। জামিন চেয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হাই কোর্টেও আবেদন করেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ৯ অক্টোবর সেই মামলার শুনানি।
Comments