গত ২৮শে মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করেন নতুন সংসদ ভবন। সেই ভবনেই সাংসদেরা এসে কার্যক্রম শুরু করবেন দ্বিতীয় দিনের বিশেষ অধিবেশন।
প্রথম দিনের অধিবেশন পুরনো সংসদ ভবনেই আয়োজিত হয়। পুরনো সংসদের অ্যানেক্স হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাস হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল। এই বিলের ভিত্তিতে অধ্যাদেশ বা আইন তৈরি হলে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
আজ দিনভর বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা-সহ তাবড় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বারবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। সকালে অমিত শাহ রাজনাথ সিং এবং প্রহ্লাদ জোশির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে।
সূত্রের খবর, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে যে বিলগুলি পেশ করা হবে, সেগুলির বিষয়ে এই বৈঠকগুলিতে আলোচনা হয়েছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশনচলাকালীন এই বৈঠকগুলিকে নিয়ে রাজনৈতিক মহল যথেষ্ট উত্তপ্ত।
২০০৮ সালে মহিলা সংরক্ষণ বিলটি গৃহীত হয় সংসদে। কিন্তু এযাবৎ এই বিলটি নিয়ে দেশজুড়ে যথেষ্ট বিতর্ক হওয়া সত্ত্বেও সংসদের দুটি সদনে পাস হয়নি। বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিলটির প্রসঙ্গ উথাপন এবং মন্ত্রীসভায় উত্থাপন করে একটি চমক দিয়েছেন দেশবাসীকে।
অবশ্য এই বিলটি আইনে অনুমোদিত হলে ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্যে সংরক্ষিত থাকবে সারা দেশের লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন ক্ষেত্রগুলিতে। বোঝা যাচ্ছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মহিলাদের ভোট নিজের দিকে টানতে এই কৌশলটি নরেন্দ্র মোদী নিয়েছেন। তবে, সাধারণ মানুষদের এতদিনের দাবি পূর্ণ হবে যদি এই বিল আইনে পরিণত হয়।
বিজেপির তরফের দেশজুড়ে প্রচার অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সংসদে এই বিল পাস হওয়ার পর দেশের কয়েকটি রাজ্যে মহিলা সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলির মধ্যে রয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত এক বিতর্কিত বিল। এছাড়া, ‘অ্যাডভোকেটস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ এবং ‘দ্য প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিকালস বিল, ২০২৩’ নিয়েই অধিবেশন নতুন সংসদ ভবন উত্তপ্ত হতে পারে।
এর পাশাপাশি, ক্ষমতাসীন সরকার আরও কিছু বিল এই অধিবেশনে পাস করবার করিয়ে নিতে পারে।
Comments