আজ ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে এক সন্ধিক্ষণ। ঔপনিবেশিক কালে নির্মিত সংসদ ভবনকে প্রধানমন্ত্রী নাম দিলেন ‘সংবিধান ভবন’। সাংসদদের নিয়ে চলে এলেন নতুন সংসদ ভবনে। বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন আয়োজিত হলো এখানেই।
তবে সাংসদদের চিৎকারে ফিরে এলো পুরনো পরিবেশই। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে দাবি করলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সময়ে রাজ্যসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল গৃহীত হয়। তার আগে নতুন সংসদ ভবনে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী অতি সংক্ষেপে দাবি করলেন, “এই বিল আমাদের।”
অন্যদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বিরোধীদের মিথ্যাভাষণের অভিযোগ করলেন। অমিত শাহের বক্তব্য, “কোনো বিল যদি সংসদের রাজ্যসভায় পাস করাবার পরে সেই অধিবেশনের লোকসভায় গৃহীত না হয়, তাহলে সেই বিল ল্যাপশড (অর্থাৎ, বাতিল) হয়ে যায়।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপি-র পক্ষ থেকে এই মহিলা সংরক্ষণ বিলটির জন্যে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দাবি করছেন।
প্রধানমন্ত্রী এই সুরটিকে আরেক মাত্রা বাড়িয়ে নিজের ভাষণে বললেন, “সম্ভবত মহিলাদের জন্যে এমন তাৎপর্যময় কিছু করবার জন্যে ঈশ্বর আমাকেই নির্বাচন করেছেন।”
“আআপ এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি এই বিলটিকে অবশ্য মহিলা সংরক্ষণ বিল না বলে ‘মহিলা বেওকুফ বনাও বিল’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই বিল যদি বা আইন হিসেবে গৃহীত হয়, ২০২৬ সালের আগে এই আইনটি বলবত হবে না যতক্ষণ না লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন ক্ষেত্রগুলির এলাকা নির্ধারণ পূর্ণসংস্কার (ডিলিমিটেশন) হয়।
অধিবেশনে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগও ওঠে যে বিজেপি মহিলাদের মধ্যেও বিভাজনের সৃষ্টি করছে। এই নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন সহ অন্যান্যরা প্রতিবাদে নতুন সংসদ ভবন সোরগোলে ভরিয়ে দেন।
Comments