গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদে বিশেষ অধিবেশনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা মহিলা সংরক্ষণ বিল অনুমোদন করলো। আগামীকাল বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর এই বিল নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা হওয়ার কথা।
দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এই বিল অনুমোদনের বিষয়টিকে বিরোধীরা স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু একই সঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করে বলা হয়েছে এই বিল যে অধিবেশনে উত্থাপিত হবে, তা আগে তাঁদের জানানো হয়নি।
সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, অন্তত দু-সপ্তাহ আগে বিলের কপি পাঠাতে হয় সব সাংসদকে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে এই বিলটি বিষয়ে কোনো আগাম নোটিশ পাঠাননি। আশা করা হচ্ছে আজ থেকে আগামী দুই দিন লোকসভায় বিলটি নিয়ে আলোচনার পরে ২১ তারিখ রাজ্যসভায় পেশ হবে এই বিল।
গত ২৭ বছর ধরে বহুবার এই বিল পেশ করে পাস করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে সংসদে। কিন্তু প্রতিবারই সব সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতা ঘটেছে হিন্দি বলয়ের রাজনৈতিক দলগুলি, বিশেষ করে লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও তৎকালীন মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির তীব্র বিরোধিতার কারণে।
অভিযোগ, আরজেডি এবং এসপি-র সাংসদরা সংসদ কক্ষে বহুবার বিলের কপি মন্ত্রী হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে উড়িয়ে দিয়েছেন।
১৯৯৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এইচডি দেবগৌড়ার ইউনাইটেড ফ্রন্ট সরকারের আমলে প্রথমবার মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ হয়েছিল সংসদে। সেবার কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার কারণে বিল পাঠানো হয়েছিল ৩১ জন সংসদের যৌথ সিলেক্ট কমিটিতে, যার নেতৃত্বে ছিলেন ছিলেন গীতা মুখার্জী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুষমা স্বরাজ, নীতীশ কুমারদের মতো নেতারা এই কমিটির সদস্য ছিলেন।
সেই কমিটি থেকে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সেই সময় থেকে গতকাল অবধি যতগুলি সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এই সুপারিশগুলি সহ মহিলা সংরক্ষণের বিলটি সংসদে পেশ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি, মুলত আরজেডি এবং এসপি-র সাংসদদের প্রবল বিরোধিতার কারণে।
অথচ, এবারে তাৎপর্যময় বিষয় এটি যে, সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এখন এই বিল সমর্থন করবে। অবশ্য এই মুহূর্ত অবধি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি আরজেডি।
Comments