এখন থেকে টোটো, অটো সহ বিভিন্ন তিন চাকার যান চলবে রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট করা রুটে । বেআইনি রুটে টোটো, অটো, রিকশা বা অন্য কোনও তিন চাকার যান চালানো যাবে না। জানিয়ে দিল পরিবহন দফতর।এই নির্দেশ অমান্য করলে জুটবে দণ্ড।
সরকারের সিদ্ধান্ত জাতীয় সড়ক, হাইওয়ে ও বিভিন্ন জেলার বিশেষ বা বড় রাস্তায় চলবে না টোটো, অটো, রিক্সায় মত তিন চাকার যানবাহন । রাস্তায় যানজট কমাতে, দুর্ঘটনা রুখতে এবং পথচারীদের সুবিধার জন্যই এই সিদ্ধান্ত, জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতর । সমস্ত জেলার প্রশাসনকে এই নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি কোনো চালক নির্দেশ অমান্য করে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টোটো, অটো-র দৌরাত্মের কথা নতুন নয়। কলকাতা তো বটেই, তবে বিশেষ করে জেলাগুলিতে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। জাতীয় সড়ক, হাইওয়ে বা জেলার গুরুত্বপূর্ণ বড় রাস্তার ব্যস্ততম স্থানে তিন চাকার যান চালকদের জোর করে স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলা থেকে , রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা, ভোগান্তি আম জনতার। তারউপর বেপরোয়া ড্রাইভিং-এর দৌরাত্ম। সব মিলিয়ে তিন চাকার যান চালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছিল।
গত ২৮ অগাস্ট বিধানসভা অধিবেশনে এই বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী বলেন, বাস রুটে যাত্রী আগের থেকে অনেক কমে যাচ্ছে। মানুষ এখন কম দুরত্বে যাওয়ার জন্য বাস উপেক্ষা করছে। জেলার বড় রাস্তায় তিন চাকার যান চলাচলে পথচারীদের হাটতে অসুবিধা হয়ে এবং নানান দুর্ঘটনাও ঘটে। এই সমস্যার সমাধান একটাই, অটো ,টোটো , রিকশার মত তিন চাকার যানচলাচল বন্ধ করা। তবে তা সম্ভব নয়। কারণ প্রচুর মানুষের জীবিকা চলে এই তিন চাকার যান চালিয়ে। তাই সবার কথা ভেবে এই বিকল্প সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন দফতর।
তবে এতে যাত্রীদের ঝক্কি কী বাড়লো? অনেক যাত্রীই ভিড় বাসে যাতায়াত করার থেকে রিসার্ভ করা অটো, টোটো করে যাতায়াতে সাচ্ছন্দ বোধ করেন। অনেককেই তাদের গন্তাতব্যে পৌঁছনোর জন্যে জাতীয় সড়ক, বা বড় রাস্নতার ব্যবহার করেন। বিশেষ করে জেলা থেকে যারা শহরে এসে বা হরতলীতে এসে কাজ করেন তারা। তাদের সমস্যার সমাধান কী বাড়লো ?
আবার করোনার পরবর্তীকালে প্রচুর বয়স্ক মানুষ গণপরিবহন বা ট্রেনে, বাসে উঠছেন না। অনেকেই নিজেদের শিশুদের স্কুল যাতায়াতের জনাও এই তিন চাকার যান ভাড়া করে নেন। তাঁদেরই বা কী হবে?
সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ মেনে নিলেও, তিন চাকার চালকরা সহজে মেনে নেবে ? রুট কমে যাওয়া মানে আয় কমে যাওয়া। পেটে টান পড়লে ইউনিয়ান কী আগে পেটের চিন্তা করবে না ভোটের? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে ।
Opmerkingen