বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে টাকা উধাও মুর্শিদাবাদের এক মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে। আর তার পরেই তাজ্জব বনে গিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
পেশায় স্কুল শিক্ষক সুতনু রক্ষিত। তার স্ত্রী প্রতিমা রক্ষিত বর্তমানে আসামে কর্মরত। আসামের লাম্বিং ডিভিশনের রেলওয়ের হাসপাতালে চিফ মেট্রোন পদে কর্মরত প্রতিমা রক্ষিত।
অভিযোগ, প্রতিমা রক্ষিতের অ্যাকাউন্ট রয়েছে কানাডা ব্যাঙ্কে। সেই অ্যাকাউন্টে মেনটেনন্সের কারণে ছিল ৫হাজার টাকা। কিন্তু সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে যায় ৫হাজার টাকা। ব্যাঙ্কে গিয়ে জানা যায় উধাও হয়ে যাওয়া টাকা তোলা হয়েছে মালদা থেকে। প্বারতিমা দেবীর বায়োমেট্রিক আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে টাকা তুলতে কোনও পিন বা ওটিপি লাগে না । প্রতারকরা টার্গেটের আঙ্গুলের ছাপ আর আঁধার কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে টাকা তুলে নিতে পারে ।
ব্যাঙ্ক জানায়, মালদা জেলার বাসিন্দা জিন্নাত আলি নামে এক ব্যক্তি আধারকার্ডের বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেই এই টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ ব্যাঙ্কের তরফে।
ঘটনার পরে কানাডা ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রায়ত্ত শাখায় অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। কান্দি ব্লক মোড়ের থাকেন সুতানু রক্ষিত। তার স্ত্রী ১৯বছর ধরে আসামে কর্মরত । এই ঘটনার পরে হতবাক পরিবারের সদস্য থেকে আত্মীয় স্বজন এমনকি পাড়া প্রতিবেশীরাও।
Comments