উত্তর হাবড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত ছাত্র স্বাগত বনিকের পরিবার সুত্রে জানা গেছে যে, মোবাইল বাড়িতে ফেলে সে গত রবিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সেখান থেকে সে কী ভাবে ১১৮ কিলোমিটার দূরে পূর্ব মেদিনীপুর এর পাঁশকুড়ায় পৌঁছায় তা নিয়ে জমেছে রহস্য।
স্বাগতের বাবা গৌতমের বক্তব্য "স্বাগতর বাবা গৌতম বলেন "বাড়িতে কোনো অশান্তি ছিলোনা। ওর সঙ্গে বন্ধুর মত মিশতাম। রবিবার বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ছেলেটা কে টাকা লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিছু লাগবে না বললো। যদি মরতেই হতো, তাহলে বাড়ি থেকে এত দূরে গিয়ে কেন? কলেজের বন্ধুরা এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত।"
একই কথা বলেছেন স্বাগতর পিসতুতো দিদি অপর্ণা দেব। তিনি বলেছেন "ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী পুলিশ তাঁদের খুঁজে বের করুক
। পাঁশকুড়ায় ওর কোনো বন্ধু বা আত্মীয় থাকেন বলেও শুনিনি। তাহলে ও ওখানে গেলো কেন আর কী ভাবে? ওর ফোনের কল লিস্ট পাওয়া গেলেও হোয়াটস্যাপ এর সব মেসেজ ডিলিট করা ছিলো।এই ঘটনার পিছনে কলেজের কিছু বন্ধু জড়িত। আমরা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার। ভাইয়ের কাছে নগদ টাকা ছিলোনা। পাঁশকুড়ায় যাওয়ার টাকা কোথায় পেলো ও -এই সব প্রশ্নের উত্তর চাই আমরা।"
মঙ্গলবার স্বাগতর দেহ ফেরার পরে প্রতিবেশীরা ভিড় করেন বাড়িতে। তাঁদের মধ্যেই একজন সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, "এতো দূরে গিয়ে কেন কেউ আত্যহত্যা করবে? স্বাগত খুব ভালো ছেলে ছিল। ওর কোনো শত্রু থাকতে পারে আমরা ভাবতেই পারছিনা। পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত করুক।"
Comments