top of page
Writer's pictureJaita Chowdhury, WTN

মুম্বাইয়ের সেরা পুজো, যা দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন ভক্তরা



উৎসবের সেজে উঠেছে গোটা মুম্বই নগরী। চারদিকে চোখ ধাঁধানো আলোর রোশনাই। কলকাতার দুর্গাপুজোর মতোই আজ সেখানে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। আকাশ ছোঁয়া প্যান্ডেল আর বাপ্পার মূর্তি। থিম থেকে বিগ্রহ, মন্ডপ সোজা থেকে আলোকসজ্জা সবেতেই একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে পুজো কমিটিগুলো।


মহানগরীর কোথাও গণপতি সেজেছেন সোনার গয়নায়, কোথাও আবার পুষ্প মালায়, কোথাও আবার মণিমুক্ত হীরে জহরতে। টানা ১০ দিনের উৎসবের খোশ মেজাজে মেতে মুম্বইবাসী।


দক্ষিণ মুম্বাই এর লালবা’চা রাজার গণেশ পুজোর কথা জানে না এমন লোক নেই বললেই চলে। সিদ্ধিদাতার সুউচ্চ ১২ ফুটের বিগ্রহ নজর কেড়েছে গোটা দেশবাসীর। এ বছর লালবাগের রাজার পুজো পড়ল ৯০ বছরে। অন্যান্য বছর গুলির মতো এবছর আয়োজিত হয়েছে নাট্যমঞ্চের। এদিন ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের রাজ্য অভিষেকের দৃশ্য মঞ্চস্থ করবেন অভিনেতারা। এরপরই মহা সমারহে শুরু হবে লাল বাচ্চা রাজার পুজো।


এই পুজোর ইতিহাস শুনলে চোখ কপালে উঠবে বৈকি। ১৯৩৪ সালে প্রথম লালবাগের রাজা কয়েকজন মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীকে একত্রিত করে শুরু করেন সিদ্ধিদাতার আরাধনা। এই পুজোর সঙ্গেই মুম্বইয়ে সূচনা হয় গনেশ মহোৎসবের। দেশ বিদেশ থেকে শুরু করে মুম্বাইয়ের স্থানীয়রা, এমনকি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীরাও আসেন লাল বাগচার বাপ্পা দর্শনে। লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসেন ভগবান। গণেশের এক ঝলক পাওয়ার জন্য। আকাশছোঁয়া বিগ্রহ, দামি অলংকার, কারুকার্যখচিত চালচিত্র দেখার অপেক্ষায় প্রহর গোনে ভক্তরা।


উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে লাইভ প্যান্ডেলও প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা। দূর দূরান্তের ভক্তদের গণপতির লালবাগচা দর্শন করানোর জন্যই এই ভার্চুয়াল উদ্যোগ পুজো কমিটির।

Comments


bottom of page