জি-২০ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ এক ব্লগ শেয়ার করেন। যেখানে তিনি লেখেন, কিভাবে ভারত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যার মোকাবিলায় করেছেন এবং গোটা বিশ্বের প্রতি সব সময় ভারত কীভাবে সহযোগিতাযর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘পুরো বিশ্ব এক পরিবার’। এক পৃথিবী হিসাবে, মানুষের জীবনের উন্নতির জন্য সবাই ঐক্যবোধ হয়ে থাকার কথা। এই মানবকেন্দ্রিক অগ্রগতির প্রকাশ পাবে ।
করোনার পরে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। তারমধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হল, জিডিপি থেকে মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে সরে যেতে দেখা গিয়েছে। গোটা বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে দৃঢ়তা এবং নির্ভরযোগ্যতার গুরুত্ব বুঝতে পড়েছে । আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কারের মাধ্যমে
অনেক পাক্ষিকতার ধারণাকে উন্নত হতে দেখেছে।
‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট’-এর আয়োজনের একটাই লক্ষ্য ছিল, সাউথ এবং আফ্রিকার দেশগুলো প্রান্তিক আকাঙ্খাকে মূলধারায় আনার প্রয়োজন মনে করেছিল ভারত।
বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায়, ‘কী করা উচিত নয়’ তা নিয়ে না ভেবে, ‘কী করা যায়’ তা নিয়ে ভাবা উচিত। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার কারণে মোটা দানা বা সবুজ শাঁখ - সবজি কাজে লাগাতে হবে।
প্রযুক্তির সুবিধা যাতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। গত কয়েক বছরে, ভারত দেখিয়েছে কীভাবে প্রযুক্তি কে ব্যবহার করে উন্নতি করা যায়।
ভারতের অর্থনীতি খুব শীঘ্রই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। ভারত মহিলাদের উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বড় পরিসরের কোনও কাজের দায়িত্বের ক্ষেত্রে বিশ্বের যেন ভারতকেই যেন মনে পরে। জি-২০'র সভাপতিত্বও তার আলাদা নয়। ভারতের ৬০টি শহরে ২০০-র বেশি সভা হয়েছে যেখানে ১২৫টি দেশের ১ লক্ষ প্রতিনিধি এসেছেন।
তারা ভারতের জনসংখ্যা, গণতন্ত্র, বৈচিত্র্য এবং উন্নয়ন নিজেরাই বুঝতে পড়েছেন,যাতে এই জি -২০ বিশ্বব্যাপী এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের পরিধি হিসেবে প্রতিটি দেশ যাতে অবদান রাখতে পারে, তার চেষ্টা করে গেছে ভারতবর্ষ।
Comments