top of page

দিল্লির রাস্তায় দানব, মার্কিণ নিরাপত্তার মোড়া রাজধানী, জেনে নিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিরাপত্তা বহর


জি- টোয়েন্টির আসর বসছে দিল্লিতে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধাণরা ভারতে এসেছেন। তবে চর্চার কেন্দ্রে রয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দিল্লির রাস্তায় নেমেছে দানব। টারম‍্যাকে এয়ারফোর্স ওয়ান। আর জি-টোয়েন্টিতে জো বাইডেন। যা দেখে মনে হতেই পারে ভারতের রাজধানী যেন মার্কিন নিরাপত্তার মোড়কে।


তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন কোনও দেশে যান তার নিরাপত্তার আবহটা ঠিক কেমন হয়?


দিল্লি পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স নিরাপত্তা দেবে এই সামিটের সব ভিভিআিইপি-কে। স্ট‍্যান্ডবাই মোডে থাকবে নএনএসজি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বলয়ের ইনার সার্কেল থাকবে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের হাতেই। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইনার সার্কেলে ভারতের কোনও সিকিউরিটি সার্ভিস থাকবে না।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে দেশেই যান, প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বলয়ের ইনার সার্কেলে সেই দেশের সিকিউরিটি সার্ভিস থাকে না। ইনার সার্কেলের দ্বায়িত্ব থাকে একমাত্র মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের হাতেই। এটাই মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বলয়ের প্রোটোকল। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোড নেম ‘ইগল ওয়ান’। এই কোড নামই সিক্রেট সার্ভিসের অফিসাররা মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন‍্য ব‍্যবহার করে। ইগল ওয়ান যেখানে, মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসও সেখানে।

পরিস্থিতি খারাপ হলে বা সন্দেহজনক কিছু দেখলে পররাষ্ট্রেও নিজে থেকেই অ‍্যাশন নিতে পারে সিক্রেট সার্ভিস।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখলে পররাষ্ট্রের নাগরিকের ওপরও গুলি চালাতে পারে সিক্রেট সার্ভিস।

এর জন‍্য সেই রাষ্ট্রের কোনও অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের ।পররাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের প্রাণ বাঁচাতে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে সিক্রেট সার্ভিস ।সেই পদক্ষেপের কারণে কারও মৃত‍্যু হলেও তার জন‍্য সিক্রেট সার্ভিসকে দায়ী করা যায় না। সিক্রেট সার্ভিসের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপও করতে পারে না সেই দেশ



মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে গাড়িতে চড়েন তার কোড নাম ‘বিস্ট’ বা দানব। বিদেশ সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পৌঁছনোর আগেই পৌঁছে যায় ওই দানব গাড়ি। একটি নয়, দুটি বিস্ট বা দানব গাড়ি আগে থেকেই অপেক্ষা করে মার্কিণ প্রেসিডেন্টের।

এই গাড়ির নিরাপত্তা থাকে একমাত্র সিক্রেট সার্ভিসের হাতে।

অন‍্য কেউ এই গাড়ির একশো মিটারের ধারে কাছে আসতে পারে না। মিলিটারি স্ট‍্যান্ডার্ডের সবচেয়ে উচ্চ পর্যার সিকিউরিটি সিস্টেম থাকে দানব গাড়িতে।যেকোনও রকম ব‍্যালিস্টিক বিস্ফোরণকে অতিক্রম করতে পারে এই গাড়ি।

টায়ার পাংচার হয়ে গেলেও সর্বোচেচ গতিতে চলতে পারে এই দানব।


গাড়ির চালকের আসনে থাকেন সিক্রেট সার্ভিসের অফিসার।

প্রেসিড্ন্টের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তিনি যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেন পররাষ্ট্রেও। প্রিসিডেন্ট্রে মোটরকেডে দুটি দানব গাড়ি থাকে। বাইরে থেকে দেখা বোঝা যায় না কোন গাড়িতে প্রেসিডেন্ট রয়েছেন। এই গাড়ি থেকে ওয়াসিংটন ও এয়ারফোর্স ওয়ানে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।

যতক্ষণ দানব গাড়ি রাস্তায় থাকে গাড়ির ঠিক ওপরে আকাশে ওড়ে মার্কিন নেভি সিলের চপার। পরিস্থিতি খারাপ হলে এই দানব গাড়ি তার নির্ধারিত পথ ছেড়ে সোজা পৌঁছে যায় এয়ারফোর্স ওয়ানের টারম‍্যাকে।



মার্কিন প্রেসিডেন্ট যতক্ষণ কোনও অন‍্য রাষ্ট্রে থাকেন টারম‍্যাকে ‘ফ্লাই রেডি’ অবস্থায় থাকে এয়ার ফোর্স ওয়ান।

প্রেসিডেন্টের প্লেনের কোড নাম এয়ারফোর্স ওয়ান।

টারম‍্যাকে ইঞ্জিন চালু রেখে ওড়ার জন‍্য রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে এয়ারফোর্স ওয়ান। এয়ার ফোর্স ওয়ানের নিরাপত্তার দায়িত্বেও থাকে সিক্রেট সার্ভিস। টারম‍্যাকের দখল থাকে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের হাতেই। এয়ার ফোর্স ওয়ানকে বলা হয় প্রেসিডেন্টের মোবাইল কমান্ড সেন্টার। অত‍্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায‍্যে ওয়াসিংটন, পেন্টাগন ছাড়াও যে কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধাণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।

দরকার পড়লে এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসেই যে কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন মারিকন প্রেসিডেন্ট।

এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে নিউক্লিয়ার লঞ্চ কোড ও ব‍্যবহার করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট । এয়ারফোর্স ওয়ানের পাইলটরা সবাই ইউএস এয়ারফোর্সের অফিসার। যে কোনও বিপদে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এটিসি ক্লিয়ারেন্স ছাড়াই উড়ে যেতে পারে এই প্লেন। এয়ার ফোর্স ওয়ান যতক্ষণ আকাশে থাকে তার পাশে ওড়ে মার্কিন এয়ারফোর্স জেট। আকাশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূর্গ এয়ারফোর্স ওয়ান।



শুধু ভারত নয়, যে দেশেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট যান, সেই শহর মার্কিন নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে যায়। যেমনটা হল দিল্লিতে। জো বাইডেনের সফরেও।

Comments


bottom of page