top of page

অবশেষে ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের দখলে, কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুলে নিহত তপন তান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু


ঝালদা পৌরসভা তৃণমূলের দখলে। কংগ্রেসের ৪ জন কাউন্সিলর ও ১ জন নির্দল কাউন্সিলার যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে। তাদের মধ্যে রয়েছেন নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুও । তপন কান্দু খুন হওয়ার পর কংগ্রেসের চিহ্নে ভোটে জিতে কাউন্সিলর হল মিঠুন কান্দু।


বুধবার পুরুলিয়ার বাগমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের ৪ কাউন্সিলর ও নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেসের চার কাউন্সিলর মধ্যে রয়েছে নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু, বিজয় কান্দু, পিন্টু কর্মকার ও আরও এক কাউন্সিলর ।



মিঠুন কান্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে ভোট দিলেও কংগ্রেসে থেকে সেই কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই উন্নয়নের স্বার্থেই দলবদল ।


১৩ মার্চ ২০২২, বিকেল ৫:১৫ নাগাদ বাগমুন্ডি রোডে গুলি করে খুন করা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। সান্ধ্যভ্রমণ সেরে ফেরার সময় বাড়ির সামনেই তাকে গুলি করে বাইকে করে আসা ৩ জন। এর পরেই উত্তাল হয় রাজনীতি । কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয় খুনের পেছনে তৃণমূলের বাত রয়েছে। ঝালদা পুরসভার সামনে বার বার বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। আসরে নামেন খোদ অধীর চৌধুরী। দাবি ওঠে সিবিআই তদন্তের। মামলা গড়ায় হাই কোর্ট পর্যন্ত।


৬ই এপ্রিল ২০২২ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্য পুলিশের হাত থেকে মামলা সরিয়ে নিয়ে সিবিআইকে এই মামলার তদন্তভার দেয় । আদালতের তরফে বলা হয় ৪৫ দিনের মধ্যে সিবিআইকে মামলার চার্জশিট জমা দিতে হবে। ১৪ জুন চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। চার্জসিটে ৫ জনের নাম উঠে আসে । সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ওঠে দিপক কান্দু, কলেবর সিং, নরেন কান্দু, মহঃ আশিক ও সত্ত্বাক প্রামানিকের।


তপন কান্দু হত্যার পর গরম হয়ে ওঠে বাংলার রাজনীতি। পুরুলিয়ায ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে জমি হারাত বিজেপি। সেই জমি আবার ফিরে আসে ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে। তবে তপন কান্দু হত্যাকে হাতিয়ার করে ঝালদা পুরসভার দখল নেয় কংগ্রেস। নিহত তপন কান্দুর সিটে ভোটে দাঁড়ান তার ভাইপো মিঠুন কান্দু। ভোটে জিতে কাউন্সিলরও হন তিনি ধরে রাখতে পারল না। বুধবার অবশেষে সেই ঝালদা পুরসভার দখল নিল কংগ্রেস। সেই মিঠুন কান্দু যোগ দিল তৃণমূলে।


নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু কী বলছেন? এখনও তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি ।

Comments


bottom of page