কেরলে কাজের খোঁজে গিয়ে প্রাণ হারালো জামাল শেখ। ৫১ বছর বয়সী জামাল শেখের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগরের খানসাহেব আবাদ এলাকায়। ওখানকার থানার এক পুলিশ অধিকারী জানান, কেরল পুলিশ এখানকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতের সমস্ত তথ্য নিয়েছেন। কেরল থেকে সমস্ত তদন্তের পরে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় মৃতদেহের।
জানা গিয়েছে,গত ৯ মাস ধরে কেরলের তালসেরি শহরে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করছিলেন জামাল, তাঁর সঙ্গে তাঁর বড়ো ছেলেও ছিল।
সোমবার দুপুরে ছাদ থেকে পা পিছলে পরে যান। ওখানে উপস্থিত বাকি শ্রমিকেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে জানায়। আজ বৃহস্পতিবার জামাল এর দেহ সাগরের বাড়িতে ফিরবে।
সাগরের স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপ পাত্র বলেন, ‘‘এলাকার বিধায়কের অনুমতিতে কেরলের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ আনার ব্যবস্থা করেছি। এর জন্য ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে ২৫ হাজার টাকা পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।"
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৃতের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে। তাঁদের ঘরের একমাত্র রোজগার করতেন জামালই। সঙ্গে করে বড়ো ছেলেকে নিয়ে যান সংসরের অনটন কমাতে। তাঁদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল পুজোর সময়।
জামালের স্ত্রী মাসুদা বিবি বলেন, ‘‘সংসারটা ভেসে গেল। এখন কী ভাবে সব সামলাবো জানি না।’’ জামালের দাদা শেখ রবি বলেন, ‘‘এখানে কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাইরে গিয়েছিল ভাই। ভিন্ রাজ্যে কাজের সুযোগ, উপার্জন বেশি হলেও শুনেছি কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই অকালে এ ভাবে ওকে চলে যেতে হল।’
’
জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপ পাত্র বলেন ‘‘কেন্দ্র সরকার একশো দিনের কাজের টাকা দীর্ঘ দিন বন্ধ করে রেখেছে। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের দিকে অনেক মানুষ ভিন্ রাজ্যে কাজে চলে যাচ্ছেন।’’ এলাকার বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘‘ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবুও আমরা চেষ্টা করছি কিছু সাহায্য করার জন্য।’’
コメント