top of page

জুলাই মাসে থেকে নিখোঁজ পড়ুয়াদের নৃশংস হত্যার ছবি ভাইরাল মানিপুরে, ক্ষুব্ধ জনসাধারণ


মণিপুরে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের মৃতদেহের নিশংস ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ চুড়ান্তত। তদন্ত শুরু করেছে মনিপুর সরকার।

৬ ই জুলাই থেকে নিখোঁজ দুই ছাত্রছাত্রীর নৃশংস হত্যার মর্মান্তিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য গভীর রাতে মনিপুর সরকার একটি প্রেস রিলিজ জারি করেছে। মনিপুর সরকার ইতিমধ্যেই আবার নতুন করে হত্যার তদন্ত শুরু করেছে।


ভাইরাল হওয়া ছবিতে শিক্ষার্থীদের হত্যার আগে ও পরের অবস্থা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছবিগুলি ভাইরাল হওয়ার পর মনিপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ। একদিকে জাতি হিংসা, তারউপর এই নৃশংস হত্যা, রাগে ফুটছ মণিপুর।


দুই পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে সম্ভাব্য বিক্ষোভ, অস্থিরতা বা জনসাধারণের হৈচৈ এড়াতে, রাজ্য সরকার দ্রুত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সরকার জানিয়েছে, প্রশাসন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো সম্পর্কে সচেতন । পুনরায় তদন্ত শুরু করেছে তারা।


নিহতদের নাম ফিজাম হেমজিৎ (২০ বছর) ও হিজাম লিন্থোইঙ্গাম্বি (১৭ বছর)। মনিপুরের সাধারণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই এই মামলাটি সিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সঙ্গে একসাথে কাজ করেবে রাজ্য পুলিশ। শিক্ষার্থীদের নিখোঁজ হওয়ার আশেপাশের জায়গার তল্লাশি এবং দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করছেন তারা। অপরাধীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনীও তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।


এই ভয়াবহ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করেছে যে, ফিজাম হেমজিৎ ও হিজাম লিন্থোইঙ্গাম্বির অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার এবং এই জঘন্য অপরাধে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকার তার আবেদনে জনসাধারণকে শান্ত থাকতে এবং তদন্ত কর্তৃপক্ষের উপর আস্থা রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।


এই দুই ছাত্র ছাত্রী ৬ই জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসতে পারেন তার জন্য তাদের পরিবারের সদস্য এবং জনসাধারণ বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়েছিল। এমনকি শিক্ষার্থীদের নিরাপদে মুক্তি দেওয়ার জন্য তাদের পরিবারা গণমাধ্যমের মাধ্যমে আবেদনও করেছিল।


প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে , যে নিহত হেমমজিতের শেষ মোবাইল অবস্থানটি চূড়াচাঁদপুর জেলার লামদানে পাওয়া গিয়েছিল। যা মূলত কুকি সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকা। ৬ই জুলাই থেকে নিখোঁজ দুই ছাত্র ছাত্রী ফিজাম হেমজিৎ এবং হিজাম লিন্থোইঙ্গাম্বির নৃশংস হত্যার চিত্র মণিপুরের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এই ছবিগুলি জনসাধারণের ক্ষোভকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে । সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। অপরাধীদের সনাক্ত করতে সক্রিয়ভাবে তদন্ত করছে।

Comments


bottom of page