শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট কুকি-মেইতেই জাতিগত সংঘাত নিয়ে কয়টি রায় দেয় । সুপ্রিম কোর্টের রায়, মণিপুরের হিংসায় বাস্তুচ্যুতদের প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করার পরেই আধার কার্ড জারি করা হবে।আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা এই নিয়ে একটি সাধারণ আদেশ পাস করবে। একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, যাচাই করতে হবে আবেদনকারীরা আসল কিনা । যদি কেউ অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে থাকে তাহলে তার দিকে নজর রাখতে হবে। কোনওভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড দেওয়া যাবে না। ৩ মে থেকে চলে আসা হিংসায় বাস্তুচ্যুতদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছে আদালত।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কোন সম্প্রদায়ের দোষ বেশি তা নির্ধারণ করার জায়গা আদালত নয়। আদালতের মন্তব্য, জাতি নির্বিশেষে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষতিপূরণ পৌঁছতে যে বাধা আসছে সেটা দূর করার দিকে মন দেওয়া উচিত প্রশাসনের।
বিচারপতি গীতা মিত্তল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে, বেঞ্চ গুয়াহাটিতে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) অফিসকে বাস্তুহারা ব্যক্তিদের আধার কার্ড দেওয়ার কাজ পুনরায় চালু করতে বলে। যাদের বায়োমেট্রিক্স রয়েছে তাদের পুনরায় আধার কার্ড দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বাস্তুহারা ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে যে অমানবিক কাজ চলছে, তার বিরুদ্ধে নিশ্চিত করে বেঞ্চ বলেছে যে ইউআইডিএআই-এর কাছে সংরক্ষিত আগের বায়োমেট্রিক্সের থেকে যাচাইয়ের পরেই আধার কার্ডগুলি পুনরায় দেওয়া হবে।
বেঞ্চ মন্তব্য, তারা খতিয়ে দেখবে এবং তারপরেই নতুন আধার কার্ড বাস্তুহারা ব্যক্তিদের দেওয়া হবে। কোন অবৈধ ব্যক্তিদের আধার কার্ড দেওয়া হবে না। পুরানো তথ্য থেকে খতিয়ে দেখার পরই নতুন আধার কার্ড দেওয়া হবে।
সুপ্রিম কোর্ট মণিপুরের রাজ্য সরকারকে দিল্লিতে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলেছে। এই নাটাল অফিসার মনিপুর থেকে অন্য রাজ্যে চলে যাওয়া বাস্তুহারাদের সাহায্যের জন্য কাজ করবে। কোন ধরনের সাহায্য লাগলে নোডাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলে দিয়েছে কোর্ট। মণিপুর থেকে বাস্তুচ্যুত এবং অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী ব্যক্তিদের অভিযোগ ও ক্ষতিপূরণের দাবির জন্য যোগাযোগ করতে হবে এই নোডাল অফিসারেক সঙ্গেই
Comments