শেষমেষ প্রকাশিত হল রাজ্যের নয়া শিক্ষা নীতি। শনিবার থেকেই গ্যাজেট নোটিফিকেশন করে শিক্ষাক্ষেত্রে বলবৎ হবে ১৬৩ পাতার নতুন শিক্ষানীতি। ইতিপূর্বে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, , জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বেছে হয়েছে এই রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে। তাই সম্পূর্ণ জাতীয় শিক্ষানীতি মানেনি বাংলা।
কী কী বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে বাংলা শিক্ষানীতি?
এক বছরের প্রি-প্রাইমারি ক্লাস এবং চার বছরের প্রাথমিকের ক্লাসের কথা বলা হয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে। এরপর অষ্টম শ্রেণীর ও দশম শ্রেণীর পর মাধ্যমিক ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শেষে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ ধাঁচে। প্রত্যেক পড়ুয়ার প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক রেকর্ড জমা থাকবে ক্লাউডে।
প্রত্যেক স্কুলেই দ্বাদশ শ্রেণীর পর আয়োজন করা হবে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’।
স্কুলে পড়ুয়া ও শিক্ষকের সমানুপাতিক থাকে সেই বিষয়ে বিশেষ নজরদারি করা হবে। এছাড়াও পড়ুয়াদের জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং সেশনের ব্যবস্থা থাকবে নয়া শিক্ষানীতিতে।
প্রাথমিক স্তরে পড়াশোনার জন্য নেতৃত্বে একাধিক দফতর মিলিয়ে তৈরি হবে সমন্বয় কমিটি।
স্কুলের পর মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে স্কুলগুলির সঙ্গে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সনন্বয় তৈরির কথাও বলা হয়েছে নতুন রাজ্যের শিক্ষা নীতিতে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রাক্তনীদের কাছ থেকে অনুদানের নীতি নির্ধারণ করার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছেীই নীতিতে।
একই ক্যাম্পাসে যাতে নার্সিং ও প্যারামেডিক্যাল কোর্স করা যায় এবং আইনের পাঠের জন্য নতুন কোর্স চালু করার কথা বলা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে। ।
এছাড়াও অন্য রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে রাজ্যে আসে, সেদিকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাতৃভাষা ও আঞ্চলিক ভাষাকে।
প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমের পড়ুয়াদের জন্য বাংলা বিষয় পড়ার সুযোগের কথাও বলা হয়েছে।
Yorumlar