অতি নিম্ন মানের খাবার। তাতে আবার মাঝে মধ্যেই মেলে পোকামাকড়। পর্যাপ্ত পরিমাণেও মেলেনা। ইচ্ছে মতো আসা যাওয়া করেন কর্মীরা। এমনই নানা অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে আইসিডিএস- এর দেওয়া খাবার ফেলে কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের শ্যামদাসপুর গ্রামের মানুষ।
বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের শ্যামদাসপুর ২ নম্বর আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে রান্না করা খাবার সংগ্রহ করেন প্রসুতি মা ও শিশু মিলিয়ে মোট ৬৫ জন। কিন্তু এই আইসিডিএস কেন্দ্র নিয়ে অভিযোগের সীমা নেই স্থানীয়দের।
তাঁদের দাবী, এই কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন না থাকায় রান্না হয় স্থানীয় এক বাসিন্দার উঠোনে। এতদিন খোলা আকাশের নিচে রান্না হলেও সম্প্রতি সরকারী ভাবে একটি ত্রিপল দেওয়ায় সেই ত্রিপল টাঙিয়েই চলে রান্নাবান্না। রান্নার জায়গার আশপাশেই জমে রয়েছে কাঠ, ইট ও টালির স্তুপ। তার মধ্যেই একটু ফাঁকা জায়গাতেই চলে রান্নাবান্না। যেকোনো সময় ইট, কাঠের স্তুপ থেকে পোকা মাকড় এসে মিশে যেতে পারে শিশু ও প্রসুতি মায়েদের রান্না করা খাবারে।
শুধু তাই নয় এই কেন্দ্রের রান্না করা খাবারের মান নিয়েও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের দাবী, প্রসুতি মা ও শিশুদের প্রতিদিন খিঁচুড়ির নামে চাল ও ডাল ফুটিয়ে যা দেওয়া হয়, তাতে না থাকে সবজি, না থাকে তেল মশলা।
সেই খিঁচুড়িতেই মাঝে মধ্যে মেলে পোকা মাকড়। শিশু ও প্রসুতি মায়েদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সেই
স্বল্প পরিমাণ খাবারটিও খাওয়ানোর ঝুঁকি নেননা স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, সময়মতো ওই আইসিডিএস কেন্দ্রে আসেননা কর্মীরা। প্রতিদিন প্রসুতি মায়েদের দেওয়া হয়না আস্ত ডিম।
আইসিডিএস কেন্দ্রে লেখাপড়া করানোর বালাই নেই। এই সব অব্যবস্থার প্রতিবাদে আজ আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে দেওয়া খিঁচুড়ি ফেলে বিক্ষোভে সামিল হন ওই আইসিডিএস কেন্দ্রের উপভোক্তা ও অভিভাবকরা।
আইসিডিএস কেন্দ্রের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা মেনে নিলেও ওই আইসিডিএস কেন্দ্রের খাবারের মান যে খারাপ, এই অভিযোগ মানতে চাননি কর্মরত আইসিডিএস কর্মীরা।
সমস্ত অভিযোগ শুনে স্থানীয় সানবাঁধা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবী টাকা বরাদ্দ থাকলেও শুধুমাত্র জায়গা না মেলায় আইসিডিএস এর নিজস্ব ভবন তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে যত শীঘ্র সম্ভব স্থানীয় কোনো ক্লাবের ভবনে আইসিডিএস কেন্দ্রটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
תגובות