কাঠের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দফায় দফায় অবরোধ বিক্ষোভ চলে নরঘাট থেকে হরিখালি-তেরপাড়ার এই রাস্তায়। মুল রাস্তার মাঝখানে বেঞ্চ পেতে, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ শ্লোগান দিতে থাকেন হরিখালি এবং তেরোপাড়া জালপাই এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভে যোগ দেন মহিলারাও।
গতকাল বিকেল থেকে বিক্ষোভ চলে রাত পর্যন্ত। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১০ বছর ধরে তেরপাড়া থেকে নরঘাট পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার বেহাল পাকা রাস্তার সংস্কার হয়নি।
তাদের অভিযোগ, আমফান ও যশের সময় হলদি নদীর জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হওয়ার পর যাতায়াত আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। মহিষাদল ও নন্দকুমার দুটি ব্লক এলাকার মধ্য দিয়ে ওই রাস্তা গিয়েছে।
সাইক্লোন যশের পর নন্দকুমার ব্লক এলাকার রাস্তা সারানো হলেও মহিষাদল এলাকার রাস্তা সারানো হয়নি। মহিষাদল ব্লক এলাকা তেরপেখ্যা থেকে হরিখালি বাজার সংলগ্ন কালীচক পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। সেজন্য স্থানীয়রা এদিন বিক্ষোভ দেখান।
ওই রাস্তার পাশে ১২-১৪-টি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার ইট ও কয়লা পরিবহণের জন্য রাস্তার উপর চাপ পড়ে। ফলে রাস্তা আরও খারাপ হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। হরিখালি এলাকায় বড় একটি হাইস্কুল রয়েছে। যশের পর থেকে রাস্তা সারানো হয়নি। ফলে দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।
রাতে ওই রাস্তায় চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। রাস্তাটি বাইপাশ রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন হলদিয়া, মহিষাদলের মানুষ।অভিযোগ, তেরপেখ্যা হলদি নদী থেকে অবৈধ বালি কারবারের জন্য ট্রাকগুলি পুলিশকে এড়াতে ওই রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে আরও খারাপ হচ্ছে। যা নিয়ে প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
留言