top of page

ঋণের টাকা চাইতে এসে আটক চার কর্মী


দুই সপ্তাহ ধরে ঋণের টাকা দিতে না পাড়ায় রাতের বেলা বাড়িতে গিয়ে কিস্তির টাকা দাবি তুলে জবরদস্তি।অভিযোগ বেসরকারি ঋণদান সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। চার কর্মীকে আটকে রাখলো ঋণ গ্রহীতা এবং তার পাড়া প্রতিবেশীরা মিলে।পুলিশ এসে উদ্ধার করলে তাদের।


ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর বোরাগাড়ি এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা শেফালি রায় নামে এক বাসিন্দা বেসরকারি ঋণদান সংস্থার থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নেন।


সেই বাবদ প্রতি সপ্তাহে তাকে ১৩৫০ টাকা করে ওই সংস্থার কর্মীদের দিতে হতো। দুই সপ্তাহ ধরে পারিবারিক আর্থিক সমস্যা থাকার কারণে কিস্তির টাকা দিতে পারছিলেন না তিনি।


দুই সপ্তাহ ধরে কিস্তির টাকা দিতে না পারার জন্য ২৫শে সেপ্টেম্বর রাতে ওই বেসরকারি ঋণদান সংস্থার চারজন কর্মী শেফালি রায়ের বাড়িতে আসেন। তারা সেই রাতের বেলায় জোরপূর্বক দুই সপ্তাহের কিস্তির টাকার দাবি করে।


প্রথমে শেফালি রায় বাড়িতে একাই ছিলেন। পরে তাঁর স্বামী বাড়ি ফিরে আসেন।


তার স্বামী বিশ্বজিত রায় কথা অনুসারে, দুই সপ্তাহ ধরে কিস্তির টাকা দিতে পারছিলেন না তাঁরা। যার জন্য রাতের বেলা বাড়িতে এসে টাকার জন্য হুমকি দেন ওই সংস্থার কর্মীরা। টাকা না দিলে বাড়ি থেকে যাবেন না বলে জানান তারা।অনবরত টাকার দাবিতে তারা হুমকি দিতে থাকে।


তাদের বাড়ি থেকে হইচই শুনে আশেপাশের প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়। প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। ঋণদান সংস্থার ম্যানেজারকে ঘটনাস্থলে আসার কথা বলা হয়। কিন্ত সেই কোম্পানির ম্যানেজার ঘটনাস্থলে আসেনি।


প্রতিবেশীরা রেগে গিয়ে তারপরে সেই চার কর্মীকে আটক করে। ঋণদান সংস্থার কর্মীদের আটকে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।


পুলিশ দুই পক্ষের কথাই শোনেন। ঋণদান সংস্থার এক কর্মী নুর আমিন জানান, তারা শুধু দুই সপ্তাহের কিস্তির টাকা চাইতে এসেছিলেন। তাদের তরফ থেকে কোন হুমকি বা চাপ দেওয়া হয়নি। তা সত্বেও তাদেরকে আটক করে রাখা হয়।


পরের সপ্তাহ থেকে শেফালি রায় কিস্তির টাকা দেবে বলে জানানো হয়। ঋণদান সংস্থার কর্মীদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়।



Opmerkingen


bottom of page