ফের চিতাবাঘের হামলা। চিতাবাঘের হামলায় জখম তিন বালক। এর আগেও মারা গেছে ২ জন। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। পরিষ্কার হচ্ছে না চা বাগানের ঝোপ ঝাড়। ফলে ডুয়ার্সের চা-বাগানগুলিতে চিতাবাঘ স্থায়ীভাবে বাসস্থান তৈরি করেছে। লাগাতার চিতাবাঘের হামলা চলছে। ফলে ডুয়ার্সের এলাকা জুড়ে এখন শুধুই চিতাবাঘের আতঙ্ক।
এবার শুয়োরের মাংসের গন্ধে দলগাও বস্তিতে এক সাথে তিন শিশুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল চিতাবাঘ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন শিশুকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জখম তিন শিশুর নাম মনিশ ওরাও (৮), অভিষেক ওরাও (১২) ও আনিস ওরাও (১০)। এই তিন শিশু সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ দলগাও বস্তিতে বাড়ির উঠোনে শুয়োরের মাংস রান্না করছিলেন কিশোর ওরাও।
শুয়োরের মাংস রেঁধে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া করার আয়োজন চলছিল। সেই সময়ে একটি উঠোনেই একটি বেঞ্চে বসে বই পড়ছিলো তিন শিশু। আচমকা একটি চিতাবাঘ তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাড়ির বড়োরা চিৎকার শুরু করলে পালিয়ে যায় চিতাবাঘটি। এই ঘটনার ফলে এলাকায় শোরগোল পড়ে গেছে।
ডুয়ার্সের চা-বাগান সংলগ্ন এলাকার মানুষেরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অনুদান না মেলায় দীর্ঘদিন রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ । তাঁদের বক্তব্য, "আগে ১০০ দিনের কাজে চা-বাগানগুলির ঝোপঝাড় নিয়মিত পরিষ্কার হতো। কিন্তু এখন আর তা হয় না। সেই কারনে চাবাগানের ঝোপঝাড়ে চিতাবাঘ স্থায়ীভাবে বাসস্থান তৈরি করেছে। আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি এই ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে।”
এই চা-বাগানেই সোমবার ৭ বছরের বালককে টুটি ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে খুবলে খেয়েছে চিতাবাঘ। ওই ঘটনার আগে ২৭ আগষ্ট জটেশ্বরের অতীত পাড়াতে ৬৯ বছরের বৃদ্ধাকে টেনে নিয়ে গিয়ে মুণ্ড ছিন্ন করেছে চিতাবাঘ।
এই দুই মৃত্যুর পর আবার আজ চা-বাগানে চিতাবাঘের হামলায় মানুষের জখম হওয়ার ঘটনা ঘটলো ।
Comments