কুড়মি সমাজের রেল রোকো আন্দোলনকে মান্যতা দিলো না হাই কোর্ট। সেই নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় রেল রোকো আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছে কুড়মি সমাজ। তবুও সতর্কতা বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন এবার পথে নামল কুড়মিদের আন্দোলন রুখতে। কড়া হাতে আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে বাঁকুড়া জেলার প্রতিটি এক্সিট পয়েন্টে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং।
উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে কুড়মিরা 'রেল রোকো'-র ডাক দিয়েছিল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বাঁকুড়া জেলায় বসবাসকারী কয়েক হাজার কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের। প্রথম থেকেই এই আন্দোলনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন।
মঙ্গলবার আন্দোলনকে বেআইনি ঘোষণা করতেই পুলিশ ও প্রশাসনের সেই ভূমিকা আরো কঠোর হলো। আন্দোলন রুখতে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা, রাইপুর থানার জানডাঙ্গা, বারিকুল থানার সাতখুলিয়া সহ প্রতিটি সীমান্তে কড়া নাকা শুরু।
সংগঠিত ভাবে যাতে কোনো আন্দোলনকারী আন্দোলনস্থলে পৌঁছাতে না পারে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন কুড়মি নেতাকে আটকও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
Comments