পুরানো পৃথক দুটি মামলায় বাঁকুড়ার দুই কুড়মি নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হল কুড়মিদের মধ্যে।
আন্দোলন ভাঙতে ওই দুই কুড়মি নেতাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবী তুলে আগামীতে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুড়মি নেতৃত্ব।
গত ২৩ মে নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে দফায় দফায় কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃনমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনায় গত ২৬ মে পুলিশ বাঁকুড়ার সিমলাপাল ও খাতড়া থানায় দুটি পৃথক স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশ।
সিমলাপালের কুড়মি নেতা তাপস মাহাতো ও খাতড়ার কুড়মি নেতা কৃষ্ণপদ মাহাতোর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই মামলায় দায়ের হয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশ, মিছিল, পুলিশের কাজে বাধাদান ও বলপ্রয়োগ, সরকারী সম্পত্তি ভাংচুর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলাতেই গত ২০ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার পুলিশ তাপস মাহাতো ও খাতড়ার কৃষ্ণপদ মাহাতোকে গ্রেফতার করে।
বুধবার দুজনকেই খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে আদালত দুজনকেই ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনাতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কুড়মি সমাজের মধ্যে।
কুড়মি সমাজের নেতৃত্বের দাবী ২০ সেপ্টেম্বর নিজেদের দাবীর সমর্থনে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউরে রেল অবরোধ ও সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
হাইকোর্টের নির্দেশে সেই আন্দোলন কুড়মিরা প্রত্যাহার করে নিলেও পুলিশ মিথ্যা মামলায় জঙ্গলমহলের চার জেলায় একের পর এক কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করছে। এর প্রতিবাদে আগামীদিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুড়মি নেতৃত্ব।
তার পাশাপাশি কুড়মি নেতৃত্বের দাবী হাইকোর্টের নির্দেশে এ রাজ্যে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলেও ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় কুড়মিদের আন্দোলন এখনো অব্যাহত রয়েছে। সেই আন্দোলনে এ রাজ্যের কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষকে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
Comments