অর্জুন সিং (Arjun Singh) বনাম সোমনাথ শ্যাম বিতর্কে এবার আসরে নামলেন কুণাল ঘোষ। অর্জুন সিং এবং সোমনাথ শ্যাম দ্বন্দ্ব গত কয়েক দিন শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি তপ্ত। এদিনও অর্জুন সোমনাথকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যার জবাব এসেছে খোদ দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের তরফে। কুণাল অর্জুনকে সাফ বলে দিলেন, ‘আগে দল ছাড়ার প্রায়শ্চিত্ত করুন।’
বুধবারও জামিন পাননি অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সঞ্জিত সিং ওরফে পাপ্পু। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুন বলেন, “যাঁরা দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হোক”। অর্জুনের কথায়, ‘‘পার্টির কাছে আমার আবেদন, যারা দলের ক্ষতি করছে তাঁদের সিকিউরিটি তুলে দেওয়া হোক। তাহলে কেউ কারও বিরুদ্ধেই কিছু বলবে না। কারণ, এরা দলের থেকে সুবিধা নিয়েই দলের বিরুদ্ধে বলছে।’’
এর কিছুক্ষণ পরেই দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কার্যত উপদেশের মেজাজে বলেছেন,‘‘ওনাকে তৃণমূল (TMC) নিয়ে বেশি দরদ দেখাতে হবে না। গত লোকসভা ভোটের আগে যখন দল ছেড়ে গিয়েছিলেন, তখন দরদ কোথায় ছিল?” কুণাল আরও স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “দলের ব্যাপারটা উনি দলকে বুঝে নিতে দিন, অর্জুন সিং বরং নিজের এলাকা সামলান।”
অর্জুন সিং উনিশের লোকসভা ভোটে জোড়াফুলের টিকিট না পেয়ে পদ্মফুলে গিয়েছিলেন। সেবার জিতেছিলেন। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি বিধানসভা আসনে ৬টিতেই হেরে যায় বিজেপি। তারপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন। সেটা নিয়েই এদিন খোঁচা দিলেন কুণাল। আসলে ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় অর্জুনকে সোমনাথ শ্যাম নিশানা করার পর থেকে বারাকপুরের সাংসদ এবং জগদ্দলের দলীয় বিধায়কের দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিয়েছে। অর্জুনের ভাইপো পাপ্পুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে সাংসদ বিধায়কের দ্বন্দ্বের পারদ আরও চড়ে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এই গোষ্ঠীকোন্দলে অস্বস্তি বাড়ে শাসক দলের অন্দরে।
Comments