top of page

কুণাল দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙেছেন, তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: অভিষেক

কুণাল ঘোষের ব্যাপারে এই প্রথম বার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কুণাল ঘোষের ব্যাপারে এই প্রথম বার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সন্দেশখালির স্টিং ভিডিও নিয়ে শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানেই তাঁকে কুণাল ঘোষের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। তার জবাবে অভিষেক বলেন, “দলের শৃঙ্খলার উপরে কেউ নয়। দলের কোথাও মনে হয়েছে উনি শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। তাই দল ব্যবস্থা নিয়েছে। এটাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই”।


কদিন আগে উত্তর কলকাতায় এক অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তাপস রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কুণাল। তাপস রায় উত্তর কলকাতায় বিজেপির প্রার্থী। ওই অনুষ্ঠানে তাপসের প্রশংসাও করেন কুণাল। এর পরই রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে কুণালকে অপসারণ করা হয়। দলের স্টার ক্যাম্পেনারের তালিকা থেকেও সরানো হয় কুণালকে। তার পর থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সমালোচনা আরও বাড়িয়ে দেন কুণাল। সেই সঙ্গে তাঁকে পদ থেকে অপসারণের বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ করেন। এর পরই শনিবার দুপুরে দেখা যায় রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁর গাড়িতে কুণালকে নিয়ে ডেরেকের বাড়িতে গিয়েছেন। প্রায় ঘণ্টা খানেক সেখানে বৈঠকের পর বেরিয়ে আসেন দুজনে। তার পর আবার কুণাল গান ধরেন, আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে..।

তা দেখে অনেকের ধারণা হয় যে দলের নির্দেশেই ডেরেক, ব্রাত্য ও কুণাল বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু ডেরেকের বাড়িতে বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বলেন, ওঁরা কী আলোচনা করেছেন, আমি কী করে বলব? ওই মিটিং নিয়ে আমি কিছু জানি না। ডেরেক এখানে রয়েছেন, ওঁকেই জিজ্ঞেস করে নিন। বাংলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা যে কুণাল তৃণমূলের অভিষেক ঘনিষ্ঠ নেতা। কিন্তু কুণালের বিষয়টিকে অভিষেক যেভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেকের মতে, অভিষেকের এই প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে দলের কর্মীদের কাছেও কুণাল সম্পর্কে বার্তা দিতে চাইলেন অভিষেক।

Comments


bottom of page