top of page
Writer's pictureMinakshi Ghosh, WTN

আপাতত কমান্ড হাসপাতালেই হতে পারে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা!


কলকাতা হাইকোর্ট আপাতত ইডির হেফাজতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষার বিষয়ে, কমান্ড হাসপাতালের আবেদনে কোনো সাড়া দেয়নি। তবে আদালতের পক্ষ থেকে এখনও কোনো পরবর্তী নির্দেশ না আসায় কমান্ডে মন্ত্রীর চিকিৎসায় বাধা নেই। সেনাবাহিনীর বাইরে অন্য কোনো সাধারণ নাগরিকের চিকিৎসায় আপত্তি তুলে বুধবার কমান্ড হাসপাতাল দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ইডি হেফাজতে থাকা মন্ত্রীকে আপাতত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া যাবে কম্যান্ড হাসপাতালে। প্রয়োজনে কম্যান্ড হাসপাতাল থেকেই তার চিকিৎসার পরিষেবাও পাওয়া যাবে।


এই নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ। তিনি বলেছেন, কমান্ডের আপত্তির ব্যাপারে, ইডির এই বিষয়ে কী বক্তব্য জানার পরেই, বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা হবে। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ৮ই নভেম্বর হতে পারে পরবর্তী শুনানির দিন।


আইনজীবী অনামিকা পাণ্ডে, কম্যান্ড হাসপাতালের তরফে বলেন, সেনার চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতাল। সাধারণ নাগরিকদের ভর্তি করানো যাতে না হয় সেখানে, সেই আর্জি নিয়েই মামলা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই এই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে বাইরের রোগী এলে বাড়তি চাপ পড়ে যায় কর্তৃপক্ষের উপর। সেক্ষেত্রে চিকিৎসায় সমস্যাও দেখা দেয়। এই মামলাটি ওই কারণেই করা হয়েছে।


ইডি এই হাসপাতালে এর আগেও বাইরের অনেককেই একাধিক বার চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছে। এই বিষয়ে তাই আপাতত কোনো নির্দেশ দেওয়া হোক। অন্য দিকে, ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের দুই সংস্থা এইভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে হাসপাতালে আসতে পারে না। এর একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। তার পরেই আদালত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এখনই কোনো নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না, ফলে জ্যোতিপ্রিয়কে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যেতে আপাতত কোনো বাধা নেই।


জ্যোতিপ্রিয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চেয়ে এর আগেও গত শনিবার এবং সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কম্যান্ড হাসপাতাল। তবে নিম্ন আদালতে সেই আবেদন করা হয়েছিল। বিচারককে তারা জানিয়েছিলেন, প্রচুর রোগী তাদের হাসপাতালে রয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রীকে ভর্তি নিলে হাসপাতালের উপর বাড়তি চাপ বেড়ে যাবে। তাই আদালত তাদের এই দায় থেকে যেন অব্যহতি দেয়।

Comments


bottom of page