স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন চক্রবর্তী বাড়ির এক পূর্বপুরুষ। সেই বছর থেকেই হুগলি জেলার কোন্নগরের চক্রবর্তী বাড়িতে শুরু হয়েছিল দেবী বন্দনা। মাঝে কেটে গিয়েছে ৭৭টা বছর। আজও সেই প্রাচীন রীতি মেনেই মহালয়ার পরদিন থেকেই পুজো শুরু হয় এই বাড়িতে।
৭৭ বছর আগের এক রাত। হুগলি জেলার কোন্নগরের চক্রবর্তী বাড়ির গৃহকর্তা নলিনীকান্তি চক্রবর্তী স্বপ্নাদেশ পেলেন। দেবী দুর্গা পূজিত হতে চান তাঁর হাতে। শুরুর বছরগুলিতে নলিনীকান্তি নিজেই ছিলেন পুরোহিত। এই পুজো সম্পর্কে বাড়ির এক সদস্য শুভায়ন চক্রবর্তী জানান, তাঁর দাদু নলিনীকান্তি চক্রবর্তী স্বপ্নাদেশ পান যে বাড়িতে মায়ের পুজো করতে হবে। সেই থেকেই শুরু তাঁদের একদিনের দুর্গা পুজো।
মহালয়ার পরদিনই শেষ হয় এ বাড়ির দুর্গা পুজো। দশমীর দিন ঘট বিসর্জন হয় গঙ্গায়। এ বাড়ির প্রতিমাতেও রয়েছে অভিনবত্ব। তাঁদের প্রতিমা কষ্টি পাথরের। ফলে ভাসান হয়না বিগ্রহ। তবে প্রতি বছর মা সাজেন নতুন রুপে। আরো একটি নজর কাড়া বিষয় হল, এ বাড়িতে মা একাই থাকেন। সঙ্গে থাকে না কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী। যাবতীয় নিয়ম মেনেই ভোগপ্রসাদ ও যজ্ঞের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় চক্রবর্তী বাড়ির একদিনের দুর্গা পুজো।
চক্রবর্তী বাড়ির মেয়ে নাকি গান শুনতে ভালবাসেন। তাই বছর পর মেয়ে যখন বাড়ি ফিরলে আসর বসে গানের। তাই মহালয়ার পর থেকে প্রতিদিন নিয়ম মেনে পরিবারের সদস্যরা নিজের গলায় গান শোনান দেবীকে। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন গোটা বাড়ির সদস্যরা।
留言