top of page

শো-কজের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে শাস্তি হতে পারে তাঁদের, এমনটাই ইঙ্গিত মালা রায়ের

Writer: Ruchika Mukherjee, WTNRuchika Mukherjee, WTN

শুক্রবার ৫০নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলোর সজল ঘোষ এবং ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলোর অসীম বসু শোকজের জবাব দিয়েছিলেন। দুই কাউন্সিলারের জবাব এখনও দেখেননি মালা রায়।


শোকজের জবাবে তারা যদি সন্তুষ্ট না হয় তবে শাস্তি হতে পারে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। শনিবার ২৩শে সেপ্টেম্বর এমনটাই জানান তিনি।


শুক্রবার রাতেই দিল্লি থেকে সংসদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায় । তবে নিজের অফিসের থেকে জেনেছেন দুই কাউন্সিলরই জবাব জমা দিয়েছেন তাঁর দফতরে।


মালা রায় বলেছেন, “সব কিছুই করা হবে কলকাতা পুরসভার আইন মেনে। আগে ওই দুই কাউন্সিলর কী জবাব দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁদের জবাব যদি সন্তোষজনক না হয়, সে ক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।”


তবে নিজেদের কাজের জন্য যদি তাঁরা অনুতাপ প্রকাশ করে চেয়ারপার্সনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, তা হলে তাঁদের শাস্তির মুখে না-ও পড়তে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মালা। দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা না চাইলে এ ক্ষেত্রে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন সজল ঘোষ এবং অসীম বসু।


গত শনিবার পুরসভার অধিবেশন চলাকালীন মারামারীর হয় বিজেপি এবং তৃণমূল কাউন্সিলোরদের মধ্যে।


মারামারির ঘটনার জন্যই শনিবারই দুই কাউন্সিলোরকে শোকজ করেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। জানিয়ে দেন যে সাত দিনের মধ্যেই শোকজের জবাব দিতে হবে তাঁদের। কাল শুক্রবার এই জবাব দেওয়ার শেষ দিন ছিল। আর সে দিনই দুই কাউন্সিলোর কলকাতা পুরসভায় এসে চেয়ার পার্সনের দফ্তরে নিজেদের জবান জমা করেছেন।



শো-কজ়ের উত্তর দেওয়ার পর তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু বলেছেন, “আমি সজলকে মারিনি, আমি ওকে শুধুমাত্র সরিয়ে দিয়েছিলাম। উত্তেজনার বসে ওই ঘটনা ঘটেছিল।”


বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের বক্তব্য, “আমি কোনও অন্যায় করিনি, আমার বাবাকে গালি দেওয়ার পরেই চোর বলেছিলাম। যেটা অসংসদীয় শব্দ হতে পারে। আমার অজান্তে এই ঘটনার জন্যে পুরসভার মর্যাদাহানি করে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”

Komentar


bottom of page