top of page
Writer's pictureRuchika Mukherjee, WTN

কামদুনি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়, আমৃত্যু সাজা খালাস এবং ফাঁসির আসামির মুক্তি!


কলকাতা হাইকোর্ট কামদুনি ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করল। ২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে এক ছাত্রীকে কলেজ থেকে ফেরার পথে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়েই গোটা রাজ্য উত্তাল হয়ে ওঠে। দিল্লির নির্ভয়া কান্ডের মতো তার ঢেউ গিয়ে পৌঁছায় দেশের অন্যান্য প্রান্তে। শুরু হয় আন্দোলন দোষীদের সাজার দাবিতে। এই ঘটনাটা তদন্ত করেছিল পুলিশ কিন্তু পরে তদন্তের ভার পায় সিআইডি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট সেই ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করল। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন ডিভিশন বেঞ্চ ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত সইফুল আলী এবং আনসার আলীর সাজা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে।


২০১৬ সালের নিম্ন আদালত তিন অপরাধীর ফাঁসি এবং অন্য তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেয়। নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত আমিন আলী বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অন্যদিকে ইমানুল ইসলাম আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্কর নিম্ন আদালতে আমৃত্যু জেলের সাজাপ্রাপ্ত। তাদের ১০ বছর জেল খাটার কারণে হাইকোর্ট থেকে তারা খালাস পেয়েছেন।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কামদুনি সফরে যান ধর্ষণও হত্যাকাণ্ডের পরে। সেখানে তার সামনে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। শুক্রবার রায় ঘোষণা হওয়ার পর মৌসুমী বলেন, "আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবো। দরকার হলে নির্ভয়া কান্ডের আইনজীবীর সাহায্য নেব। "


রায় ঘোষণার সময় বিচারক সঞ্চিতা তারা রায় জানিয়েছিলেন, এমন নৃশংস অপরাধ বন্ধ করার জন্য সমাজকে করা বার্তা দেওয়া প্রয়োজন যাতে এই ধরনের অপরাধ আড়াল না হয়। তিনি বলেছিলেন,এমন অপরাধ অংকুরে বিনাশ করা দরকার নয়তো দাবানলের মতো গোটা সমাজে ছড়িয়ে পড়বে। গত ডিসেম্বরে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্ত ডিভিশন বেঞ্চে অপরাধী ৬ জনের সাজা মুকুবের সেই আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছিল। তারই রায় ঘোষণা হল শুক্রবার।


এই ধর্ষণও হত্যাকান্ড মামলায় গ্রামের মেয়ে মৌসুমী রায় অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন। শুক্রবার হাইকোর্ট আদালত চত্বরে রায় শোনার জন্য গোটা কামুদুনি গ্রাম জড়ো হয়েছিল। তারা আশা করেছিল নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল থাকবে হাইকোর্টেও। কিন্তু তা না হওয়ায় অখুশি সকলেই। মৌসুমী সেখানে বলেছেন, দরকারে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুর কাছে দরবার করব। কিন্তু দোষীদের সাজা আদায় না হওয়া পর্যন্ত থামবো না। আদালত চত্বরে রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন মৌসুমী এবং টুম্পা।

Commenti


bottom of page