তদন্তকারীদের হাতে তথ্য প্রমান এসেছে রেশন বন্টন দুর্নীতি কাণ্ডে। সূত্রের খবর শুধু সংস্থার মাধ্যমেই নয় আরো অন্য মাধ্যমেও দুর্নীতির বিনিয়োগ করা হয়েছে। রেশন বন্টন দুর্নীতি কান্ডের নগদ টাকার ও লেনদেন হয়েছে দেদার। সেই লেনদেনের মূলেই রয়েছে খোদ খাদ্য দফতরই। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন এই দুর্নীতির তদন্তে একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করেই তথ্য মিলেছে।ইডির হেফাজতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গত ৫ দিন ধরে রয়েছেন। খাদ্য মন্ত্রীর সাথে যুক্ত একাধিক সংস্থার খোঁজ ইতিমধ্যেই ইডির আতশ কাঁচের তলায়। তিনটি সংস্থায় শেয়ার প্রিমিয়ামের মোড়কে প্রায় ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পরে তদন্তকারীরা এটাও জানতে পারে তার কন্যা এবং স্ত্রীর তিনটি সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকা জমা করা হয়েছিল।
একই সঙ্গে বাকিবুর রহমানের স্ত্রী এবং শ্যালকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কয়েক কোটি টাকার লেনদেনের হদিস পেয়েছে তদন্তকারীরা। টাকার হিসেব পাওয়া গিয়েছে ইডির তল্লাশি তে বাজেয়াপ্ত হওয়া ডায়েরী এবং নোট বইয়ে। সেই টাকার অঙ্ক মেলানো প্রয়োজন কার কাছে কবে কত টাকা শেষ পর্যন্ত পৌঁছেছে সেই তদন্তে নেমেই একেবারে খাদ্য দপ্তরের মধ্যেই টাকার হাত বদলের বিষয়টি জানতে পারে ইডির তদন্তকারীরা।১৪ই অক্টোবর বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ইডি। বাকিবুরের পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে এই রেশন দুর্নীতি কান্ড নিয়ে। বাকিবুরকে জেরা করার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম উঠে আসে। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িসহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় তদন্তকারী সংস্থা।
২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয় ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। ইডির দাবি খাদ্যমন্ত্রী থাকার সময় বাকিবুর যখন ধরা পড়ে তার দুর্নীতির টাকার ভাগ জ্যোতিপ্রিয় পান। শুধু বাকিবুর নয় আরো বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের থেকে আসত তার তরফে নগদ টাকা। তদন্ত চলাকালীন বাকিবুর এবং এক ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপের কথাবার্তা তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। ইডির দাবি ২০২০ থেকে এমআইসিকে ৬৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। পরে কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে যে,ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তায় আরও জানা গিয়েছে। ১২ লক্ষ টাকা দেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে এমআইসি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
留言