top of page

প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত


শুক্রবার আদালতে শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা শুরু হয়। ইডির হাতে গ্রেফতার হয় রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের বন মন্ত্রী। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তার শারীরিক অবস্থা বুঝতে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। আপাতত বর্তমান বন মন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানানো হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে। অন্যদিকে বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জ্যোতিপ্রিয়র পাশে দাঁড়িয়ে রাস্তায় নেমে মিছিল করছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শনিবার সারাদিন জ্যোতিপ্রিয়ের হৃদযন্ত্র এবং স্নায়বিক বিভিন্ন পরীক্ষার নিরীক্ষা করা হয়। ডায়াবেটিসের এবং মেরুদন্ডের পরীক্ষাও করানো হবে। শনিবার থেকে মন্ত্রীর হল্টার মনিটরিং শুরু করা হয়েছে। ইডির কোনো আধিকারিককে হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায়নি। তবে ইডি সূত্রে খবর রবিবার তাদের তদন্তকারী আধিকারিক হাসপাতালে এসে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে পারেন।



এদিকে জ্যোতিপ্রিয় এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে তদন্তে তাদের অসহযোগিতার কারণে এই পদক্ষেপ। এদিকে জ্যোতিপ্রিয় হাসপাতালে ভর্তি অন্য দিকে রহস্যজনক পোস্ট করে আরও জল্পনা বাড়িয়ে দিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী একটি মেডিকেল রিপোর্ট পোস্ট করেছেন যাতে রোগির নামের জায়গায় লেখা রয়েছে 'রেশন রবার।' শুভেন্দু অধিকারী নিজের পোস্টটিতে এও লিখেছেন বাংলার সবচেয়ে বহু চর্চিত ডায়াগনস্টিক রিপোর্টের ঝলক।'



অন্যদিকে প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ রাস্তায় নেমেছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশাল মিছিল বার করে প্রতিবাদ শুরু তৃণমূল। এদিকে বালুকে ভর্তি নিতে চায়না কম্যান্ড হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাদের উপর এখন রোগীর চাপ রয়েছে। তাদের যুক্তি হাসপাতালে সেনা কর্মী, সেনা অধিকারীক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা হয়। যারা যুদ্ধে যায় দেশের সেবা করে তাদের জন্যই কম্যান্ড হাসপাতাল। এই পরিস্থিতিতে কোন রোগীকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয় তা জানান কর্তৃপক্ষ আদালতকে। বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তাকে নিয়ে তদন্তে কোন কামাই নেই ইডির। ২৬ শে অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় তিনটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা জানতে পারে তার এবং তার স্ত্রী কন্যার।তাদের প্রশ্ন করা হলে তারা উত্তর দিতে এড়িয়ে যায়। সংস্থার স্ট্যাম্প উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করেছে বলে দাবি ইডির।



এদিকে ইডির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আরও দাবি করেন। ইডি চাপ দিচ্ছেন তারই প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে নাম বলিয়ে নেওয়ার জন্য। তার আপ্ত সহায়ককে ১২ ঘন্টা ধরে তল্লাশি করেছে ইডি। তাকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা করেছে সুজিত বসুর নাম তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে তার নাম লিখে দেওয়ার জন্য এটাও বলা হয়েছে যে তাকে ছেড়ে দেবে নামটা দেওয়ার পর। 'এটা কী ধরনের অত্যাচার' বলেছেন সুজিত বসু।


এদিকে বাকিবুর জেল হেফাজতে। শনিবার ব্যাংকশাল আদালতে দাবি করে ইডি,উপরের কারোর আশীর্বাদ ছিল মন্ত্রী ঘনিষ্ট বাকিপুরের মাথায়। এদিকে বাকিবুরের আইনজীবী দাবি করে রেশন দুর্নীতির মামলায় তার মক্কেলের কোন এফআইআরএ নাম নেই। দুই পক্ষের সব কথা শোনার পর বিচারক বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ১১ নভেম্বর পর্যন্ত বাকিবুরকে।

Comments


bottom of page