প্রথমবর্ষের ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সরগরম ছিল যাদবপুর ক্যাম্পাস। নেপথ্যে ছিল র্যাগিং তত্ব। এবার র্যাগিং রুখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দোরে দোরে বসবে এআই প্রযুক্তি।
বুধবার যাদবপুরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল দ্বিতীয়বারের জন্য পরিদর্শনে আসেন। হস্টেল ও ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন তাঁরা। বেশ কিছু বিশেষ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে এই দল।
হস্টেলে ‘ফেসিয়াল রেকগ্নিশন’ বসানোর পরিকল্পনা করছেন ইসরোর প্রতিনিধিরা। সেক্ষেত্রে, আবাসিকরা যন্ত্রে মুখ দেখিয়ে হস্টেলে প্রবেশ করতে পারবেন। ক্যাম্পাসেও এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবনা-চিন্তা করছে বিশেষজ্ঞরা।
হস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের যাবতীয় তথ্যে যাতে নথিভুক্ত করা হয় সেই বিষয়টিও ভেবে দেখছে ইসরোর প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স এবং টার্গেট ফিক্সিংয়ের পরিবেশ আছে কি নেই, খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ দল। যাদবপুরের এই সংক্রান্ত রিপোর্ট যাবে ইসরোর বেঙ্গালুরুর অফিসে। সেখানে সমস্যা সমাধান এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যাদবপুরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে এআই প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা বলেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এআই প্রযুক্তির প্রয়োগের প্রয়োজন। পরবর্তীতে রাজভবনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় ইসরোর সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, ছাত্রদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে শুধু সিসিটিভি নয়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।
Opmerkingen