বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে পৌঁছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। এদিকে জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করতে পারেন ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের সঙ্গে। গত সপ্তাহে ইজরায়েল সফরে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ বিদেশ মন্ত্রী জেমস ক্লোভারলি। এরপর অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রীর যাওয়ার কথা মিশর, তুরস্ক এবং কাতারে। গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলা চালানোর পর তার নিন্দা করেছিলেন সুনক। এরপর মঙ্গলবার গাজার একটি হাসপাতাল রকেট হামলায় ধ্বংস হওয়ায় তারও নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, "এটাই সেই সময়, যখন বিশ্বের সমস্ত নেতাদের একসঙ্গে আসতে হবে। যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটতে পারে।"
হামাসের সন্ত্রাসবাদী হামলার ফলশ্রুতি হচ্ছে এই এত মানুষের মৃত্যু। অন্যদিকে গাজায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জন্য মিশর এবং গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা রাফা সীমান্ত খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ব্রিটেন। এই সংঘাতে ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে সাত জন নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। এদিকে বুধবার ইজরায়েলে পৌঁছে নেতানিয়াহু এবং ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন বাইডেন। বাইডেন বলেছেন, মিশরের রাষ্ট্রপতি মানবিক সহায়তা সহ ২০টি ট্রাকের একটি প্রাথমিক দলকে যেতে দেবেন। মিশরের রাফা সীমান্তের কাছাকাছি ২০ টি ট্রাক অপেক্ষা করছে। হামাস যদি সেই সাহায্য বাজেয়াপ্ত করে তবে তা শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে ইজরায়েলে হামাসের হামলার পর ইজরাইল গাজা উপত্যকায় জল,বিদ্যুৎ,খাবার ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। গাজার একটি হাসপাতালে ধর্মঘটের কারণে ক্ষোভের পর মানবিক সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার ঘোষণা আসে।ইজরায়েল হাসপাতালে হামলার জন্য ইসলামিক জিহাদকে দায়ী করেছে। দাবি করা হয়েছে যে, হামাসের একটি রকেটই ফায়ার করে গাজায় অবতরণ করেছে ইসলামিক জিহাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Comments