ইজরায়েলের হানায় গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে শতাধিক মানুষ নিহত। জখমের সংখ্যা কয়েকশো। বিস্ফোরণ ঘটেছে ইজরায়েলের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ফেটেই। পরে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইজরায়েল। তারা জানাই ওই হামলায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারী সহ বেশ কয়েকজন হামাস নেতা নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে সুরঙ্গের একটি অংশ। যে শরণার্থী শিবিরটিতে হামলা হয়েছে সেটি উত্তর গাজায়। যেখান থেকে কিছুদিন আগে প্যালেস্টাইনিদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছে মোট ৮৫২৫ জন। যার মধ্যে শিশু কিশোর কিশোরীর সংখ্যা অন্তত ৩৫৪২ জন। সোমবার পর্যন্ত এই নিহতদের সংখ্যা ৮৩০৬ জন ছিল। একদিনে ২০০র বেশি প্রাণ হারিয়েছে ইজরায়েলের হামলায়।এর পাশাপাশি ওয়েস্ট ব্যাংকে মৃত্যু হয়েছে দুই পালিস্টাইনির। ৭ অক্টোবরের থেকে অন্তত ১২১ জন পালিস্টাইনির প্রাণ গিয়েছে।
এদিকে সোমবারই সাংবাদিক বৈঠকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন কোনভাবেই হামাশ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কোন যুদ্ধ বিরতিতে তে রাজি নয় ইজরায়েল। ইজরায়েলের মন্ত্রী সভায় যুদ্ধ বিরতিতে রাজি না হওয়ায়, গাজার সাধারণ মানুষদেরকে মিশরের সিনাইয়ে পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে প্যালেস্টাইনির তরফ থেকে। এ প্রস্তাবে নাকোজ করে দিয়েছেন মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবাওলি। তাদের বক্তব্য ইজরায়েল এবং হামাশ সমস্যা সমাধানের জন্য মিশরকে বলি দেওয়া যায় না। ক্রমশ হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী। বিশেষ করে হামলা চালানো হচ্ছে হামাসের সুরঙ্গ গুলিতে। স্পঞ্জ বোম নামে আধুনিক বোমার সাহায্যে সুরঙ্গের মুখ বন্ধ করা হচ্ছে।
Comments