top of page

বিজেপি এবার কি ভয় পেলো?ট্রেন বাতিলের পর বাসযাত্রা নিয়ে বক্তব্য রাখলেন উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি


গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাওড়া থেকে বিশেষ ট্রেনের জন্য রেলকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল ৷১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস ৷


২ তারিখ ও ৩ তারিখ অক্টোবরের এই কর্মসূচির জন্য কিন্তু শুক্রবারই ওই বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিয়েও বাতিল করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকারের রেল ৷


এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাদের দাবি, বিজেপি ভয় পেয়েছে তারই প্রমাণ এই ট্রেনের অনুমতি ৷ আজ ২৯শে সেপ্টেম্বর, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, "একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে গণ আন্দোলন করবে, ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকরা মিলে। সেই মোতাবেক অগ্রিম বুকিং অ্যামাউন্ট জমা দিয়ে বিশেষ ট্রেন বুক করা হয়েছিল, কিন্তু ট্রেন ৩০শে সেপ্টেম্বর ট্রেন ছাড়ার আগের দিনই সেই ট্রেনের অনুমোদন বাতিল করা হয় রেলের পক্ষ থেকে।এই বিশেষ ট্রেনের অনুমোদন বাতিল করে বিজেপি প্রমাণ করলো তারা সাধারণ মানুষের এই গণ আন্দোলনকে ভয় পেয়েছে।"


এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, 'দিল্লিতে ১ লক্ষ লোকের শিবিরের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে, কৃষি ভবনের সামনে আন্দোলনের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়ির সামনে আন্দোলনের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে এই সরকার,' তারই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই সাংবাদিক সম্মেলন।


তবে তৃণমূল দলের সদস্যরা থেমে থাকেননি। ট্রেনে না যেতে পারলেও তাঁরা বাসে করে পৌঁছাবে দিল্লি। এই কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন শুক্রবারই। বলেছিলেন বিকল্প রাস্তা নেওয়ার কথা। অভিষেকের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই জানিয়ে দেওয়া হলো শনিবার সকাল ৯ টায় ধর্মতলা থেকে একে একে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে তৃণমূলের বাস।


তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথা একটুও নড়চড় হয়নি সূত্রে খবর। শনিবারই সকালে রহনা হয় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে। একের পর এক দূরপাল্লা স্লিপার ক্লাসের বাস এসে থামতে শুরু করে।


ট্রেন না পাওয়ার কারণে তৃণমূল দলের সিদ্ধান্ত সড়ক পথেই দিল্লি পৌঁছাবে। তৃণমূল সূত্রে খবর ৫০ টি বাস করে দলের প্রতিনিধি এবং ১০০ দিনের কাজের জব-কার্ড হোল্ডাররা দিল্লি পৌঁছাবেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী এই বাস ছাড়ার প্রক্রিয়া সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত চলতে পারে।

Comments


bottom of page