top of page
Writer's pictureJulie Shaw, WTN

উত্তরবঙ্গে জেতা বাজি হারলো বিজেপি, তবে কি চা শ্রমিকরাও আর পাশে নেই বিজেপির ?


উত্তরবঙ্গে ব্যর্থ হলো পদ্ম শিবির। নিজেদের জমি ফিরে পেলো তৃণমূল। ২০১৯ এর লোকসভার পর উত্তরবঙ্গে নিজেদের শক্তি বাড়াতে শুরু করে বিজেপি। যদিও তার আগে উত্তরবঙ্গে শাসন করে এসেছে তৃণমূল কখনো আবার বাম।


তবে ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে আবারও মুখ থুবড়ে পড়তে হল পদ্ম শিবিরকে। কয়েক জায়গায় আসার আলো দেখলেও লোকসভা পর বিধানসভার ভোটের ফলাফলে ব্যর্থ

বিজেপি।


জলপাইগুড়িতে মোট ৮০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ জায়গাতেই বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে শাসকদল। অন্যদিকে মালদার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে ভালো ফল হয়নি বিজেপির। মালদায় পঞ্চায়েত লড়াই হয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের। এবং উত্তর দিনাজপুরে মোট ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ আসনই গেছে তৃণমূলের ঝুলিতে। দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপির হাথে থাকলেও সেখানে তুলনামূলকভাবে খারাপ ফল হয়েছে পদ্ম শিবিরের।


তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু বিজেপির এই হার দেখেই বোঝা যায় ধূপগুড়ির মানুষ রাজনৈতিক প্রত্যাখ্যান করেছে বিজেপিকে। এই পরাজয় স্পষ্ট করেছে গ্রামাঞ্চল ও চা বলয়ের ভোট পায়নি বিজেপি।


প্রসঙ্গত ২০১৯ এ বিজেপি উত্তরবঙ্গে জেতার পর পদ্ম শিবিরের পাশে দাড়িয়েছিল চা শ্রমিকের একটি বড় অংশ। এমনকি বহু চা শ্রমিক যোগ দিয়েছিল বিজেপিতে। শুধু তাই নয় তৃণমূল থেকেও দল বদল করে বিজেপিতে আসে বহু শ্রমিক। কিন্তু কোথাও কি তাদের অবহেলা করেছে গেরুয়া শিবির? চা শ্রমিকদের আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বিজেপি? কারণ পঞ্চায়েত ভোটের আগে বহু চা শ্রমিক ফিরে যায় তৃণমূলে।


বিশেষজ্ঞদের মতে উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করে চা শ্রমিকদের ওপর। তবে কি বল যায় যে বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে চা শ্রমিকরা?

আবারো বিশ্বাসের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারের দিকে।

Comments


bottom of page