হাওড়া বেলগাছিয়া ভাগাড়ে জঞ্জালের পাহাড়ে বায়ো মাইনিং -এর কাজ করতে গিয়ে ভয়াবহ ধস নামে। আর তা তে বন্ধ হয়ে যায় হাওড়ার প্রধান নিকাশি নালা। এর ফলে, সালকিয়া এবং বামনগাছি এলাকায় গত সোমবারের বৃষ্টিতে জমা জল দু’দিন পরেও নামেনি।
হাওড়ার একমাত্র ভাগাড়ে বহু বছরের আবর্জনায় বড় বড় পাহাড় তৈরী হয়েছে। এই ভাগাড় দিয়ে চলে গেছে ১০ ফুট চওড়া নিকাশি নালা। হাওড়া পুরসভার নিকাশি দফতর থেকে জানা গিয়েছে, ওই নালা দিয়ে শিবপুর ও উত্তর হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত ময়লা জল নিয়ে শহরের পচা খালে গিয়ে মিশছে। কিন্তু ধসের জন্য ভাগাড়ের এই নালাটির প্রায় ১০০ ফুট অংশ বন্ধ হয়ে গেছে।
এর জেরে এই এলাকাগুলোর নিকাশির জল বেরোতে পারছে না। এখন আবার রোজদিনই বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে উত্তর,দক্ষিণ এবং মধ্য হাওড়ার অনেক এলাকায় জল জমে যেতে পারে আর তা নামতে অনেকদিন সময় লেগে যাবে।
সুজয় চক্রবর্তী, হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন জানান, ইতোমধ্যেই পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের নজরদারিতে খাল পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পরে নালার পাস দিয়ে দেওয়াল তৈরির হবে বলে জানায়, যাতে এই এক সমস্যা আর না হয়।
জল জমে থাকায় এলাকাবাসীর বেরোতে কত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নানান পোকামাকড় বাড়ছে, বিপজ্জনক মশা বাড়ছে। এখন পুরসভার থেকে যে দেওয়াল বানানোর কথা উঠেছে তা আগে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ? উচ্চুপদস্থ আধিকারিকদের এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না বলে কি, তারা সহজে বুঝতে চাইছে না ? এই সাধারণ মানুষের সমস্যা কতদিনে ঠিক হয়ে তাই দেখার বিষয়।
Opmerkingen