top of page

মণিপুরে আর কতদিন ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে নিষিদ্ধ রাখা হবে?


আরও পাঁচদিন বাড়ল সময়সীমা। মণিপুরে আজই চালু হচ্ছে না ইন্টারনেট। আগামী ৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত মণিপুরের বাসিন্দাদের জন্যে ইন্টারনেট ব্যবহার নিষিদ্ধ রাখলেন কর্তৃপক্ষ। আগে জানানো হয়েছিল, ১ অক্টোবর থেকেই মণিপুরে স্বাভাবিক হবে ইন্টারনেট পরিষেবা। মণিপুর সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হল, ইন্টারনেট ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে অক্টোবরের ৬ তারিখ পর্যন্ত।

কর্তৃপক্ষের যুক্তি, নতুন করে গণ আক্রোশ তৈরি হওয়ায় তাঁদের সিদ্ধান্তের এই বদল। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “সর্বত্র স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর হিংস্র লড়াই চলছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, থানাগুলির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন অব্যাহত।“


পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলের জেলাগুলিতে সকাল ৫টা থেকে ১১টা অবধি কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। যাতে মানুষ বাজারহাট করতে পারেন। তবে, প্রতি পদে,মণিপুরের মানুষ ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর।


গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেয়, মণিপুরের বাস্তুহারা মানুষ, যাঁদের নথি ইউআইডিএআই-তে ইতোমধ্যেই জমা রয়েছে, রাজ্য সরকার যেন তাঁদের আধার কার্ড বানিয়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট এই ব্যাপারে স্থানীয় সরকারকে তৎপর হতে বলেছেন।


সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ, একটি নির্দিষ্ট কমিটি গঠন করতে বলেছেন। যারা দেখভাল করবে, মণিপুর হিংসায় যে বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় নথি নষ্ট হয়ে গেছে, মণিপুরের ব্যাঙ্কগুলি যাতে তাঁদের গ্রাহকদের সেই প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলি তুলে দিতে পারে।


সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, প্রাক্তন বিচারপতি গীতা মিত্তালের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ মণিপুরে মহিলাদের নিপীড়ন বিষয়ক যা অভিযোগ জমা পড়েছে, তা যেন খতিয়ে দেখেন। এই বেঞ্চে অন্য প্রাক্তন বিচারপতিরা হলেন শালিনী যোশী এবং আশা মেনন।


মণিপুরে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরে আসবার একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারত, ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করা। কিন্তু আফস্পা চালু করে দেওয়ার পর, মণিপুর থেকে ভারতে এবং বিশ্বে মণিপুর বিষয়ক সংবাদ জানবার জন্যে ইন্টারনেট পরিষেবা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সেইদিন আরও দূরে।

Opmerkingen


bottom of page