গঙ্গার ভাঙন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদের গ্রামের পর গ্রামে। বহু ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে গঙ্গায়। জেলার সমশেরগঞ্জ এলাকায় বেশিরভাগ মানুষের আয় বিড়ি বেঁধে। অনেকে আবার পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন অসহায়। দিন কাটাচ্ছেন রাস্তায়।
কোথাও একতলা, কোথাও দোতলা বাড়ি, নদী ভাঙনে সব তলিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের চোখের সামনে ভেসে যাচ্ছে সমস্ত সঞ্চয় সংসার। রাতের ঘুম উড়ে গেছে মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জের গ্রামের বাসিন্দাদের।
কিছু দিন আগেই ধস কবলিত গ্রামগুলিতে পরিদর্শন করতে যান বহরমপুরের সাংসদ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি এই ঘটনার দায় চাপান রাজ্য সরকারেরর উপর। বিরোধীদের অভিযোগ, ভাঙন থেকে গ্রামবাসীকে বাঁচাতে কার্যকরী পদক্ষেপ করছেন না প্রশাসন।
এই বিধ্বংসী ভাঙনের প্রতিরোধে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, "গত ৫ মে সমশেরগঞ্জের গ্রামগুলিতে ভাঙন মোকাবিলায় ১০০ কোটি টাকার অনুদানের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও ভাঙনরোধে কোনও কাজ শুরু হয়নি।’’
এ নিয়ে সমশেরগঞ্জ ব্লকের বিডিও সুজিত লোধ বলেন, "ভাঙন সংক্রান্ত বিষয়টি সেচ দফতর সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা সব সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।’’
Comments