শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করল ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। রবিবার তৃণমূল শাসক দল তাদের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) ঘোষণা করল সেই খবর।
শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকার নাম লেখাতে চলেছে সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। রবিবারটা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলো ইউনেস্কো। এই ঘোষণা প্রকাশ্যে আসতেই খুশি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া থেকে কর্মী ও শ্রমিক থেকে প্রাক্তন ছাত্ররা সকলেই।
তৃণমূলের তরফ থেকে লেখা হয়," বাংলার জন্য গর্বিত মুহূর্ত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেল। সংস্কৃতি এবং মেধায় নোবেল জয়ী এর যে অবদান রয়েছে, তাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল। চলুন, আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষণ করি। "
শান্তিনিকেতন কে হেরিটেজ ঘোষণা করা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি লিখেছিলেন, " গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তীতে সারা দেশের জন্য সুখবর। শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।" তার সঙ্গেই রেড্ডি সংযোজন করেন, বিশ্বভারতী আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ার্ল্ড টেরিটের তালিকায় ঠাই পেল কিনা তা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে একটি আনুষ্ঠানিক সভায় ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা এবং ১৯২১শে বিশ্বভারতীর পথ চলার শুরু। ১৯৯১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা পায় বিশ্বভারতী। ইতিপূর্বে, সুন্দরবন, দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন, নীলগিরি পাহাড় ও শিমলার রেলগাড়ি কেউ হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল শান্তিনিকেতন।
Comments