top of page

জনাইয়ের চৌধুরী বাড়ির পুজো নিয়ে গান বেঁধেছিলেন মান্না দে, কেমন আছে সেই পুজো?

"শুনেছি চৌধুরী বাড়িতে নাকি বসেছে আসর

এসেছে কলকাতার এক নাম করা নাট্য কম্পানী"


মান্নাদের সেই বিখ্যাত গানের সেই চৌধুরী বাড়ি আসলে কোথায় জানেন?



পুজোর আর ঠিক একমাস বাকী। শহরের থিমের পুজোর ভিড়ে হাঁফিয়ে উঠে অনেকেই চান শহরতলির পুজো দেখতে। আর শহরতলির রাজবাড়ী র পুজো হলে তো কথাই নেই। সেই উদ্দেশ্যেই পুজোর প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলাম হুগলী জেলার জনাইয়ের বাকশার চৌধুরীবাড়িতে৷ প্রায় ৩০০ বছরের বেশী পুরানো এই বাড়িতে পুজো দেখতে অনেক দুরদুরান্ত থেকে সবাই আসেন। পুজোর সময় তো বটেই এই বাড়ির দোল উৎসব ও দেখার মতো। প্রায় ৩০০ বছরের পুরানো এই পুজোয় প্রতিমা হয় একচালায়৷ রাধা কৃষ্ণ মূল আরাধ্য দেবতা হওয়ায় এখানে গনেশ এবং কার্তিকের ওপরে জয়া এবং বিজয়ার পরিবর্তে রাধা কৃষ্ণের মূর্তিও দেখা যায় কিন্তু এমন ভাবে ওনাদের রাখা হয় যাতে বলিদানের সময় ওনারা দেখতে না পান।



বাড়ির বাইরেই বিরাট শান বাঁধানো সদর পুকুর,এখানেই নবপত্রিকা স্নান করানো হয়।বাড়ির সদর দরজার ওপরের কারুকার্য আপনার চোখ টানবেই৷ ভিতরে বিরাট দালানের একদিকে মন্দির এবং বাকী তিনদিকে নাটমন্দির। এখানেই দোলের সময় রাধা কৃষ্ণ কে কোলে নিয়ে পুরোহিত মশাই নাচেন এবং সমস্ত ভক্তবৃন্দ নাটমন্দির থেকে রাধা কৃষ্ণকে আবির দেন৷ প্রচুর লোক সমাগম হয় সেই সময়।আর সামনের মাঠে বিরাট মেলা বসে এবং রাত ভর কলকাতার বিখ্যাত নাটকের দল আসে নাটক করতে।


দেবী এখানে দশভুজা নন,চতুর্ভুজা। চার হাতে থাকে তরোয়াল,ঢাল,ত্রিশূল এবং সাপ।বাড়ির পিছনের দিকে রাধা কৃষ্ণ এর মন্দির টিও দেখার মতো, মন্দিরটিতে নিত্য পুজো হয় এবং মন্দিরটির কারুকার্য দেখে বোঝা যায় অনেক পুরানো কিন্তু মন্দিরটির রক্ষনাবেক্ষনের তারিফ করতেই হয়৷



সব মিলিয়ে পুজোর চারদিনের মধ্যে একদিন ঘুরে আসতেই পারেন এই বাড়ির পুজো দেখতে।এছাড়াও এই বাড়ির আশেপাশেই আছে আরো অনেক জমিদার বাড়ি৷

জনাইয়ের মনোহরা খেতে খেতে পুজোয় ঠাকুর দেখতে হলে কলকাতা থেকে লাগবে ঠিক ৪৫ মিনিট। হাওড়া থেকে কর্ড লাইনের ট্রেনে জনাই রোড নেমে টোটো ভাড়া করলেই একদিনের জন্য ঘুরে আসুন জনাইয়ে


Comments


bottom of page