top of page

চন্দ্রযানের সাফল্যের আগেই প্রচুর অর্ডার, তবুও বেতনহীন ৩১৫০ কর্মী

চন্দ্রযান ৩ চাঁদে পৌঁছানোর ৮ মাস আগে লঞ্চপ্যাড সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ সাপ্লাই দিয়েছিল রাঁচির হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন(HEC)। আর সেই লঞ্চপ্যাড ডিজাইন করে মেটালার্জিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট লিমিটেড (MECON)। ইসরোকে চন্দ্রযানের যন্ত্র পাঠিয়ে, খালি পেটেই আনন্দে সামিল হলেন এখানকার প্রায় ২৭০০ শ্রমিক। আধিকারিক মিলিয়ে কর্মীর এখানে সংখ্যা ৩১৫০।



ইতিমধ্যে, কিছুকাল ধরে ছাঁটাই বিরোধী আন্দোলন চলছে এই দুই রাষ্ট্রয়ত্ব সংস্হায়। তার ওপরে ১৮ মাস হতে চলল মাইনে নেই। মাত্র ১০০০ বা ১২০০ কোটি টাকা পেলে এইচইসি বেঁচে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি। পাশাপাশি অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের নানান জায়গায় এইচইসি-র জমি বেচে দিচ্ছে কেন্দ্র। আর সেখানে তৈরি হচ্ছে বিলাসবহুল বাড়ি। অথচ, বঞ্চিত ২৭০০ শ্রমিক ও ৪৫০ আধিকারিক।



ইতিমধ্যে, এইচসিই-র শ্রমিকরা লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে। আধিকারিক ও শ্রমিক সংঘর্ষ কমিটি সাফ দাবি করেছে, অবিলম্বে বকেয়া বেতন দিতে হবে, সঙ্গে এইচসিই পুনরুজ্জীবনের প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছে তারা। নইলে, বিজেপির দফতর ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছে সংঘর্ষ কমিটি।


সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, মেকান ও এইচসিই আসলে 'মাদার কনসার্ন', যারা এদেশের বৃহত্তর শিল্প- কারখানাগুলির জন্ম দিয়েছে। ধুঁকতে থাকা এই দুই সংস্হার হাতে এখনও প্রচুর অর্ডার। তাই অবিলম্বে এইচইসি বাঁচানো জরুরি।

চন্দ্রযান ৩ ও ইসরোর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সারা ভারত। কিন্তু, দীর্ঘকাল হয়ে গেল, - এই প্রকল্পে জরিয়ে থাকা ৩১৫০ কর্মী ও আধিকারিক বেতন পাননি। যা নিয়ে ক্রমেই রাঁচি থেকে অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়ছে সারা ভারতে।

Comments


bottom of page