স্কুলের লাইসেন্স নিয়ে একাধিক অনিয়ম রয়েছে। কোনো সরকারি অনুমতি ছাড়াই এতদিন চলছিল বেহালা হরিদেবপুরের ব্লাইন্ড স্কুলের হোস্টেল।
গত রবিবার হরিদেবপুর এলাকার একটি ব্লাইন্ড স্কুলে তথা হস্টেলে আবাসিকদের ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। এরপরেই তদন্ত শুরু করে লালবাজার থানার পুলিশ।
স্পেশ্যাল জুভেনাইল পুলিশ ইউনিট স্কুলটির সব দিক খতিয়ে দেখছে। তাতেই উঠে আসে, বিনা লাইসেন্স চলছে এই স্কুলের হোস্টেল।
রাজ্য সরকারের গণশিক্ষা প্রসার এবং গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতর থেকে এই ধরণের স্কুলের লাইসেন্স দেওয়া হয়ে। কিন্তু এই স্কুলের এমন কোনো লাইসেন্সই নেই বলে জানা গিয়েছে। বহু বছর আগে, গণশিক্ষা প্রসার দফতর থেকে এই স্কুলের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতিপত্রকেই সরকারের মান্যতা দেওয়ার শংসাপত্র হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু স্কুলের সঙ্গে হোস্টেল চালানোর কোনো উল্লেখ ছিল না।
এই নিয়ে এখন নানান সরকারি দফতরের মধ্যে চলছে দোষারোপ। কলকাতার মধ্যে এইভাবে বেআইনি ভাবে একটা হোস্টেল কীভাবে চলতে পারে ? প্রশাসনের দিকেও উঠছে আঙুল। এতদিন তাদের চোখে এমন বেআইনি স্কুল-হোস্টেলের তথ্য অজানা থাকতে পারে কী করে ?
Comments