ইজরায়েলের কারাগারে বন্দি প্যালেস্তিনীয়দের যদি মুক্তি দেওয়া হয় তাহলে হামাসও পণবন্দি ইজরায়েলিদের ছেড়ে দেবে, প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী এমনটাই দাবি করেছে। এএফপি জানিয়েছে, একটি টেলিভিশন সম্প্রচারে এই ঘোষণা করেছেন হামাসের অন্যতম মুখপাত্র আবু ওবেদিয়া। ওই ঘোষণা সম্প্রচারিত হয়েছে হামাস পরিচালিত চ্যানেল আল-আকসা টিভিতে। ওই ঘোষণায় বলা হয়েছে, ইজরায়েলকে তাদের কারাগার খালি করতে হবে। তাদের কারাগারে যত প্যালেস্তিনীয় বন্দি আছেন, অবিলম্বে তাঁদেরকে মুক্তি দিতে হবে। তাহলে হামাসও ইজরায়েলি বন্দিদের ছেড়ে দেবে।
অপরদিকে, ইজরায়েলি ফৌজ স্থলপথে গাজার ভূখণ্ডে ঢুকে হামাসকে আক্রমণ করেছে। এই অভিযান এখনও চলছে। হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চলছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক থেকে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ। ইজরায়েলের হামলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং ইন্টারনেট ব্যাহত হয়েছে গাজায়। সমগ্র বিশ্ব থেকে গাজা প্রায় একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই যুদ্ধের ফলে অন্তত ২৩ লক্ষ সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত গাজার যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
পশ্চিম এশিয়ায় গত ৭ই অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এই যুদ্ধ। এই দিন ইজরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে হামাস। এর ফলে বহু মানুষ মারা গিয়ে ছিলেন। হামাস অনেককে বন্দি করে নিয়ে যায় প্যালেস্টাইনে। তারপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
ইজরায়েলের পাল্টা আক্রমণে যুদ্ধ শুরু হয়। ইজরায়েল এই যুদ্ধে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলিকেও পাশে পেয়েছে। ভারত সরকারও সমর্থন জানায় ইজরায়েলকে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এখনও পর্যন্ত মৃত্যুমিছিল দেখছে বিধ্বস্ত গাজা। এখন আট হাজারের কাছাকাছি বেড়ে গিয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা, এর মধ্যে রয়েছে বহু শিশুরাও।
תגובות