গুজরাটের দক্ষিণ ও মধ্য অংশে বন্যায় প্লাবিত। রবিবার পাঁচটি জেলায় প্রায় ১,০০,০০ মানুষকে আটকে রয়েছে। তাঁদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এখন অবধি ২০০-র বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত আহমেদাবাদে ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে বজ্রপাত সহ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আহমেদাবাদে অবিরাম বৃষ্টি স্বাভাবিক জীবনকে স্তব্ধ করে দিয়েছে । টানা বৃষ্টির কারণে রাস্তায় জল জমে গেছে।
রবিবার সকালে এই বর্ষায় প্রথমবার, নর্মদার সর্দার সরোবর বাঁধটি তার পূর্ণ জলাধার, স্তর ১৩৮.৬৮ মিটারে পৌঁছোয়। যার ফলে কর্তৃপক্ষ, পার্শ্ববর্তী ক্যাচমেন্ট এলাকা থেকে আসা অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে, ৩০টি স্লুইস গেটের মধ্যে ২৩-টি খুলে দিয়েছে।
ভারুচ, নর্মদা এবং ভাদোদরার বেশ কয়েকটি এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ । এই অঞ্চলের
নিচু এলাকায় থাকা গ্রামে এখন বন্যা। বেশ কয়েকটি গ্রাম জলাবদ্ধ হয়ে আছে । ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, পঞ্চমহল, দাহোদ, খেদা, আরাবল্লী, মহিসাগর, বানাসকাঁথা এবং সবরকাঁথা জেলায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। গুজরাটে বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতাও দিয়েছে।
নর্মদা ছাড়াও, ওড়সাং, হেরান, মাহি, মেশরি এবং পানামের মতো বৃষ্টিনির্ভর নদীগুলি ভারী বর্ষণ ও বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে ফুলে ফেংপে উঠেছে। যার ফলে নিচু এলাকার গ্রামগুলি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এবং স্থানীয় উদ্ধারকারী দলগুলি বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকদের সরিয়ে আনার কাজ শুরু করে দিয়েছে। পঞ্চমহল জেলার নদীর কাছে একটি সেতুর নীচে আটকে থাকা প্রায় ১০০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও নর্মদা জেলার গ্রামের একটি হাসপাতালে আটকা পড়া কিছু রোগীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
댓글