সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর একটি ভাষনে বলা কথা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। যেখানে তিনি বলেছিলেন আলু থেকে সোনার মেশিন সম্পর্কে। এক দিক থেকে আলু ঢুকালে অন্য দিক থেকে বেরিয়ে আসবে সোনা।
তবে এবারও ঘটলো এমনই এক ঘটনা। যে ঘটনা শুনলে মনে পড়বে রাহুল গান্ধীর সেই কথা। এবার বাংলা থেকে মাথার চুল যাচ্ছে ওপার বাংলায়। আর ওপার থেকে এপারে আসছে কেবলই সোনার বিস্কুট।
বিএসএফ সূত্রে খবর, এমনই কারবার চলছে নদীয়ায়। নদীয়ার চোপড়া এবং আন্দুলিয়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে চলছে এই বিনিময় প্রথা। যেই প্রথার ফলেই রম রমিয়ে চলছে কারবার।
বিএসএফ জানাচ্ছে, হাতিশালা এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিলিয়া এবং চোপড়া ব্লকে মানুষের চুলের কারবার বেশ পুরনো। নদীয়া জেলার কমপক্ষে ১২ হাজার পরিবার যুক্ত রয়েছে এই কারবারের সঙ্গে।
এই চুল প্যাকেট বন্দি অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। তবে বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে এপারে ঢুকছে সোনার বিস্কুট। কিন্তু কেন এই ব্যবসা?
বিএসএফ কতৃপক্ষ ব্যাখা করে বলেছেন, মাথা আছড়ানোর সময় মাথা থেকে অনেক চুলই উঠে আসে। যা অনেকেই জমিয়ে রেখে দেন বহুদিন ধরে। তারপর ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় সেই চুলগুলি, কমপক্ষে তিন থেকে চার হাজার টাকা কেজি দরে। আর তারপরেই সেই চুল ভারতের বাইরে বিক্রি হয়ে যায় কমপক্ষে কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা দামে।
আসলে, সারা বিশ্ব জুড়ে এখন পরচুলের চাহিদা প্রচুর। অনেক দাম দিয়ে কেনা হয় পরচুল। সুতরাং সেই চুলগুলি থেকে তৈরি হয় মানুষের পরচুল। শুধু বাংলাদেশে স্থায়ী নয় এই ব্যবসা।
বাংলাদেশ থেকে এই চুলগুলি পৌঁছে যায় চীন ইন্দোনেশিয়ার মতো বহু জায়গায়।
তবে এই পাচার চক্র রুখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয় এই চক্র তারা দ্রুতই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টায় রয়েছেন।
জুলি সাউ
Comments