top of page

'স্টপ চাইল্ড ম্যারেজ' লিখে মেয়েটি এবার নিজেই রুখল নিজের বিয়ে, মেয়েরা চাইলে সব পারে


বৃহস্পতিবার চন্দ্রকোনা ২নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেটেলা গ্রামের মেয়ে বৃষ্টি পূজারী। ভগবন্তপুর সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর পড়ুয়া এই মেয়েটির ছাত্রীর বাবা প্রশান্ত পূজারী জোর পূর্বক তার বিয়ের প্রস্তুতি নেন।


বৃষ্টি বিয়ে করতে চায়না, সে পড়তে চায়, ভগবন্তপুর ঞ্জানদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষক শিক্ষিকাকে বিষয়টা জানায় বৃষ্টি, স্কুলের উদ্যোগে ব্লক প্রশাসনের কাছে খবর যাতেই দ্রুত বাড়িতে পৌঁছে যায়, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে উপ প্রধানরা।


এমনকি পরিবারের বাবা মায়ের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয় , যে ১৮ বছরের আগে তার বিয়ে দেয়া যাবে না। বর্তমানে বৃষ্টি পড়তে চায়। ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনাজুর মোল্লা ও প্রধান দয়াল লোহার এলাকায় গিয়ে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেয় বৃষ্টির বাড়ি ও এলাকাবাসীকে।


কোনো মতেি ১৮ বছরের নিচে বয়সী মেয়েদের বিয়ে দেয়া যাবে না, এবং কেউ যদি এরকম কাজ করে তৎক্ষণাৎ পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানানোর কথা বলা হয়, এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির মতো একটা কিশোরীর উজ্জ্বল ভবিষ্যত নষ্ট না করে তাকে বিয়ে দেওয়া বেআইনী কাজ। তাকে তার স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে দেওয়া উচিত ।


এই ঘটনা গুলো এখন ঘটেছে বহু গ্রামে। বাবারা জোর করেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে ঘাড় থেকে নামাতে চান। এই ঘটনা কেন এখন অবধি বন্ধ হচ্ছেনা। এই ধারণা এখনও অনেক মানুষের আছে যে ,মেয়ের ১৮বছর হচ্ছে মানেই এবার ছেলে দেখো!


কেন মেয়েরা কি পড়াশোনা বা চাকরি করতে পারবেনা? যে মেয়েরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে নির্দ্বিধায় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

Comments


bottom of page