দূষণ কম করতেই আনা হয়েছিল গ্যাসের অটো CNG। কিন্তু সেখানেই দেখা গেল বেআইনি ভাবে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ভরা হচ্ছে অটোতে। গড়িয়া স্টেশনের কাছে বাঁশপোল এলাকায় এমনই ব্যবসা চলছে, যা চলতি ভাষায় কাটা গ্যাসের ব্যবসা নামেই পরিচিত।
৮ই নভেম্বর বুধবার, রাতে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণে ওই কাটা গ্যাসের দোকানের এক কর্মী আহত হন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ সব জেনেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, অভিযোগ এলেই তারা ব্যবস্থা নেবেন। দমকল জানিয়েছে, ওই দোকানটিতে ৬০টি LPG সিলিন্ডার ভর্তি ছিল। এক ঘন্টার চেষ্টার পর দমকলের দুটি ইঞ্জিনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এতদিন ধরে কীভাবে চলছিল এই বেআইনি কাজ? এই বিস্ফোরণের ফলে কতটা বড় বিপর্যয় হতে পারতো তা ভেবেই আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটার পর পুলিশ দোকানটিকে সিল করে দিয়েছে।
গড়িয়া স্টেশন থেকে গঙ্গাজোয়ারা যাওয়ার রাস্তার পাশে আরেকটি দোকানেও দেখা গেল, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে বেআইনিভাবে অটোতে গ্যাস ভরা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন সবটাই জানে, তাই রমরমিয়ে এই ব্যবসা চলছে। ওই দোকান যার তাকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। এরকম ব্যবসা আরো কত জায়গায় চলছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
একদিকে চলছে বেআইনি গ্যাসের কারবার। অন্যদিকে সিএনজির অভাবে থমকে রয়েছে কলকাতা পুরসভার ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার গাড়ি। দূষণ রুখতে কলকাতা পুরসভা এই গাড়ির ব্যবহার করে। কিন্তু এখন সিএনজির অভাবেই থমকে রয়েছে এই গাড়ি। তার জন্যই বাঁধা পরছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজে।
Comentários